পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF)-এর মেয়াদ সাধারণত ১৫ বছর। তবে বিশেষ নিয়ম অনুযায়ী, বিনিয়োগকারী ম্যাচিউরিটির পর ৫ বছর করে মেয়াদ বাড়াতে পারেন। এটি রিটার্ন বৃদ্ধির পাশাপাশি মাসিক আয়ও বাড়িয়ে দেয়।
মেয়াদ বাড়ানোর নিয়ম
১৫ বছর পর বিনিয়োগকারী চাইলে ৫ বছর করে মেয়াদ বাড়াতে পারেন। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে বিনিয়োগকারীর উপর নির্ভরশীল। মেয়াদ বাড়ানোর সময় বিনিয়োগকারীর দুটি বিকল্প থাকে:
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Now1. বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়া: এই ক্ষেত্রে আগের মতোই টাকা জমা হবে এবং সুদ মিলবে।
2. বিনিয়োগ ছাড়াই মেয়াদ বাড়ানো: এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ক্লোজিং ব্যালেন্সের উপর সুদ জমা হবে।
বর্তমানে পিপিএফ স্কিমে ৭.১% হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে।
২০ বছর পর মেয়াদ বাড়ানো
২০ বছর পরও বিনিয়োগকারী আরও ৫ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়াতে পারেন। এখানেও একই নিয়ম প্রযোজ্য: বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়া বা বিনিয়োগ ছাড়াই মেয়াদ বাড়ানো। বিনিয়োগ না করলে ২০ বছরের ক্লোজিং ব্যালেন্সের উপর ৭.১% হারে বার্ষিক সুদ প্রযোজ্য হবে।
পিপিএফে ১৫+৫ ফর্মুলায় রিটার্ন
পিপিএফে এক বছরে সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। ধরা যাক, কেউ প্রতি বছর সর্বোচ্চ টাকা বিনিয়োগ করেন। ৭.১% সুদের হারে ১৫ বছর পর তিনি ৪০,৬৮,২০৯ টাকা রিটার্ন পাবেন। যদি তিনি মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ান, তাহলে ২০ বছর পর মোট রিটার্ন হবে ৬৬ লাখ টাকা।
মূল তথ্য:
- এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ জমা: ১.৫০ লাখ টাকা
- সুদের হার: বার্ষিক ৭.১%
- ১৫ বছরে মোট জমা: ২২,৫০,০০০ টাকা
- ১৫ বছরের শেষে মোট ফান্ড: ৪০,৬৮,২০৯ টাকা
- ২০ বছরে মোট জমা: ৩০,০০,০০০ টাকা
- ২০ বছরের শেষে মোট ফান্ড: ৬৬,৫৮,২৮৮ টাকা
মেয়াদ বাড়ানোর সুবিধা
যদি বিনিয়োগকারী ২০ বছর পর বিনিয়োগ ছাড়াই আরও ৫ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ান, তাহলে ৬৬,৫৮,২৮৮ টাকার উপর ৭.১% হারে বার্ষিক সুদ পাবেন। এই সুদের পরিমাণ হবে ৪,৭২,৭৩৮ টাকা, যা তিনি প্রতি বছর একবারে তুলতে পারবেন। মাসিক হিসাবে এটি দাঁড়ায় ৩৯,৩৯৫ টাকা।
ট্যাক্স সুবিধা
এই আয়ের উপর কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না। মূলধন ৬৬.৫৮ লাখ টাকাও সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে। পিপিএফের এই সুবিধাগুলি বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক সুরক্ষা এবং মাসিক আয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস প্রদান করে।