বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় ‘শিখণ্ডি’ শব্দটি ব্যবহার করেন। কারণ হিসেবে তিনি রাজ্যে হিংস্র সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ আনেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজ্য পরিদর্শন করার সময় ‘গো ব্যাক’ এর মতো ব্যানার দেখানো হলেও, প্রতিবেশী দেশগুলির রোহিঙ্গা মুসলমানদের পশ্চিমবঙ্গে শাসকদলের ভোটার হিসাবে দেখা হওয়ার কারণে তাদের ‘স্বাগত’ জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ সূচক আলোচনায় অংশ নিয়ে দিলীপ ঘোষ নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনের বিরুদ্ধে জাতীয় রাজধানীর শাহীনবাগে হওয়া বিক্ষোভের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন যে, ‘সেখানকার বিক্ষোভকারীরা বিদেশি অর্থ থেকে কেনা বিদেশী বিরিয়ানি খেতে বেশ উপভোগ করছেন।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিজেপি এই নাটকের বিরোধী।’
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআরও পড়ুন : ‘এরা সবাই রাবণের সন্তান’, বিজেপিকে কটাক্ষ কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর
সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল বলে জানান তিনি। কারণ প্রতিবাদকারীদের দ্বারা ট্রেন পুড়িয়ে দেওয়া এবং রেলপথ উপড়ে ফেলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি। ‘দুর্ভাগ্যক্রমে, এই ‘শিখণ্ডি’ সেখানে ক্ষমতায় রয়েছেন। পুলিশ কিছুই করেনি। তারা একটি লাঠিও ব্যবহার করেনি বা এফআইআরও দায়ের করেনি, গুলি চালাতে দেয়নি। আমি এর বিরোধিতা করেছি। এখন আমার বদনাম হচ্ছে। আমি দেশপ্রেমিক।’ মমতাকে আক্রমণ করে বলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
শিখণ্ডি মহাভারত মহাকাব্যে একজন হিজড়া যোদ্ধা ছিলেন। যুদ্ধে ভীষ্মকে হত্যা করার জন্য তিনি মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। কাপুরুষতা দেখানোর জন্য তার নাম প্রায়শই ব্যবহার করা হয়।
লোকসভায় তিনি টিএমসি সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান ও গণতন্ত্রের বিরোধী কাজ করার অভিযোগ আনেন এবং বলেন যে, ‘রাজ্যে বিজেপিকে সিএএ-র সমর্থনে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলির সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তটি একটি ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ।