টলিউডবাংলা সিরিয়ালবিনোদনভাইরাল & ভিডিও

Aindrila-Sabyasachi:’দিল দিয়া…’, ৬ মাস পুরনো ভিডিয়োতে ঐন্দ্রিলার হাত ধরে নাচ সব্যসাচীর

Advertisement
Advertisement

ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন অভিনেত্রী। এখনো চলতে হচ্ছে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। হাজার কাজের ফাঁকে মনের মানুষের যত্ন নিতে ভোলেননি এই অভিনেতা। এ এক সুন্দর ভালবাসার গল্প, প্রেমে থাকা দুই মানুষের ভালোবাসার আখ্যান। এই প্রেমে নেই ভেজাল শুধু আছে একে অপরের প্রতি নির্ভরতা, পাশে থাকার উৎসাহ। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন আমি সব্যসাচী চৌধুরী ও ঐন্দ্রিলা শর্মার কথা বলছি। এরা আর রিল নয় বাস্তবে সাধারণ মানুষের চোখে সেরা জুটির তকমা এঁরা পেয়েছেন।

Advertisement
Advertisement

তবে এই জুটি কখনো লোক দেখিয়ে একে ওপরকে ভালোবাসেনা। নিজেদের জন্য একে অপরকে ভালোবাসেন ঐন্দ্রিলার এক টুকরো হাসি দেখার জন্য নিজেকে হারতে এককথায় রাজি আছেন সব্যসাচী। প্রেমিকার ক্যানসারের অস্ত্রোপচারের পর তাঁর আবদারে অনভ্যস্ত পায়ে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে নাচতেও কখনো কুন্ঠাবোধ করেননা তিনি। নাই বা হল এই নাচ নায়ক নায়িকার মতো। তবে এতে মিশে আছে প্রেম আর ভালবাসা।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে এক মিষ্টি নাচের ভিডিও শেয়ার করেছেন সব্যসাচী। তবে ভিডিয়োটি কাল শেয়ার করলেও করা হয়েছে মাস ছয়েক আগের। ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয়বার ক্যানসার হানা বসিয়েছে ঐন্দ্রিলার শরীরে। বিগত কয়েক মাস ধরে হাসপাতাল-বাড়ি-হাসপাতাল করেই কাটছে দিন। তবু হাজার কষ্টেও হারেননি অভিনেত্রী। ডাক্তার লিখে দিয়েছে রেডিয়েশনের ডোজ, অস্ত্রোপচারের তারিখ। সেই মতোই এখনো চলছে চিকিৎসা, হয়েছে অস্ত্রোপচারও। এমন সময়েই কোনও এক মাঝরাতে নাচের প্রতি ভালোবাসায় মনের মানুষের সাথে নাচতে ইচ্ছে করেছিল খুব। শরীর ক্লান্ত হলেও মন ছিলনা ক্লান্ত । তাই প্রেমিককে জড়িয়েই বাড়ির পোশাকে শুরু হল বল ডান্স। ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন বাজছে ‘দিল দিয়া গাল্লা…’।

এই ভিডিও শেয়ার করে সব্যসাচী লিখছেন, “ভিডিওটি প্রায় ছয় মাস আগে ওর মায়ের ফোনে তোলা, সদ্য অস্ত্রোপচার হয়েছে তখন, ভালো করে হাঁটার ক্ষমতা নেই অথচ মাঝরাতে উনি নাচবেন। আমরা দুজন একেবারেই ভিন্ন মেরুর মানুষ। ছোট থেকেই ও নৃত্য পটিয়সী, আর এদিকে নাচের বিষয়ে আমার দুটি ঠ্যাঙই অকেজো। গান চালিয়ে বললো, ‘আমি অসুস্থ হলেও তোমায় ঠিক হারিয়ে দেব”। হারতেই তো চেয়েছিলেন সব্যসাচী। এই হারায় সুখ খুঁজে পেয়েছিলেন কবেই। আরও লিখেছেন, “হেহে, আমি তো কবেই হেরে গেছি। তবে এই হাসিটুকুর জন্য আমি আরও সহস্রবার হারতে রাজি আছি।” সব্যসাচী হারতে চেয়েছেন। কিন্তু নেটিজেনদের চোখে, ঐন্দ্রিলার চোখে তাঁর জিৎ হয়েছে বহু আগেই। কী বলা যায় তাঁকে? ‘বাজিগর’? কারণ, ‘হার কর জিতনে ওয়ালোকো…’, কী যেন বলেছিলেন ‘রোম্যান্স খান’? এদের এই ভালোবাসা দেখে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনুগামীরা। নিমেষে ভাইরাল হয় এই ভিডিও।

 

Advertisement

Related Articles

Back to top button