শুক্রবার, ২৯’শে এপ্রিল বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে রাহুল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত দেব-রুক্মিণী অভিনীত ‘কিশমিশ’। এই ছবি পর্দায় দেখার অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন অভিনেতার ভক্তদের পাশাপাশি সকল সিনেমাপ্রেমীরাও। সম্প্রতি সেই ছবির প্রচারে জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় গেম রিয়্যালিটি শো ‘দিদি নম্বর ১’এ উপস্থিত হয়েছিলেন ‘কিশমিশ’এর টিম। সেখানেই নিজের প্রথম ছবির নায়িকা রচনা ব্যানার্জীর সামনেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন ছবির নায়ক।
২০০৬ সালে ‘অগ্নিশপথ’ ছবির হাত ধরেই অভিনয় জগতে ডেবিউ ঘটেছিল অভিনেতার। সেই ছবিতেই রচনা ব্যানার্জীর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তখন থেকেই পরিচয় অভিনেত্রীর সাথে। আর এদিন ছবির প্রচারে এসে দীর্ঘদিনের পরিচিত অভিনেত্রীর সামনেই এই রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে একেবারে আবেগপ্রবণ হয়ে অকপটে নিজের মনের কথা জানিয়েছেন টলিউডের সুপারস্টার দেব।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঅভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি বম্বেতে বড় হয়েছেন। পুনে থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়েছেন তিনি। পাস করার দু’বছর পর এক জায়গায় অ্যাসিস্টও করেছিলেন অভিনেতা। সেখানেই তিনি বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেছিলেন। এরপরে কলকাতা থেকে একদল বম্বেতে শুটিং করতে গিয়েছিলেন, আর তাদের সূত্র ধরেই ‘অগ্নিশপথ’ ছবির কাজ নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন অভিনেতা। তিনি এও জানান, কলকাতাতে তিনি প্রতি মাসে শুটিং করতে যেতেন। একটি ব্যাগও গুছিয়ে রাখতেন, সেটা কলকাতাতে এলেই নিয়ে চলে আসতেন। এরপরেই অভিনেতার তিনটি ছবি পর পর হিট হয়। তারপর থেকেই কলকাতায় স্থায়ী আস্তানার কথা চিন্তা করেছিলেন অভিনেতা।
তিনি এও জানান, প্রথম প্রথম ছবির প্রযোজক যেখানে থাকতে বলতেন, সেখানেই থাকতেন তিনি। প্রতি তিনমাস অন্তর কলকাতায় তাকে নিজের বাড়ি বদলাতে হতো সেইসময়। পরে অবশ্য নিজের একটি বাড়ি কেনেন তিনি।
কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে তিনি যখন প্রথম অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন তার বাবা এই বিষয়টি একেবারেই পছন্দ করেননি। রীতিমতো রেগে গিয়েছিলেন নিজের ছেলের উপর। তবে শুরু থেকেই তার মা তার পাশে ছিলেন। তিনিই একমাত্র বলেছিলেন, তার ছেলে হিরো হবেই। অভিনেতার কথায়, মায়েরা হয়তো এমনই হয়। তিনি যে শেষপর্যন্ত তার মায়ের সেই বিশ্বাসটা রাখতে পেরেছেন, তাতেই তিনি খুশি। ‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চে প্রিয় অভিনেতাকে অকপটে পেয়ে খুশি তার অনুরাগীরাও।