![](https://cdn.bharatbarta.com/wp-content/uploads/2019/08/matha-jontrona.jpg)
ভারতবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সায়ন্তিকা দাস : আমরা অনেক সময় অনেক কিছু ভুলে যেতে থাকি এবং তার জন্য আমরা আমাদের ব্রেন কে দোষারোপ করতে থাকি। আমরা সকলেই ভাবি আমাদের ব্রেন হয়তো ঠিকঠাক কাজ করছে না। প্রয়োজনের সময় তো আমরা একদমই স্মৃতি ধরে রাখতে পারিনা।
আমরা অযথা আমাদের মস্তিষ্ককে দোষ দিতে থাকি। কিন্তু দোষটা আমাদেরই ।আমরাই আমাদের মস্তিষ্ককে অচল করে ফেলছি।
আসুন আসল কারণ গুলো জেনে নেই–
১) ধূমপান করা–
আমরা যে ধূমপান করি তার কারণে হৃদপিণ্ড থেকে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের স্মৃতি শক্তিও হ্রাস পেতে থাকে।
সুতরাং আমরা যারা ধুমপান করি তাদের আজই ধূমপান করার অভ্যাস পরিত্যাগ করা উচিত।
২) কম ঘুমানো–
আমরা এখন ফোনের প্রতি খুবই আসক্ত। বেশিরভাগ মানুষেরই এখন রাত জেগে ফোন ঘাটার অভ্যাস রয়েছে। এই কারণে আমরা রাতে দেরি করে ঘুমাই। এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠি আমাদের কাজের জন্য।পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম আমাদের হয় না। এর ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়।
মস্তিষ্কের সিন্যাপস কে সুস্থ রাখে সিন্যাপ্টিক প্লাস্টিসিটি। ঘুম কম হওয়ার কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে। এবং নিউরনের সংযোগে বাঁধার সৃষ্টি করে। ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি কমতে থাকে।
একজন মানুষের ক্ষেত্রে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
৩) সবসময় বিষণ্ণ থাকা–
জীবনে নানা কারণে আমাদের মন খারাপ হয়ে থাকে। তবে সব সময় মন খারাপ করে গুমড়ে থাকাটা একেবারেই উচিত নয়। এতে যেমন মনের ওপর চাপ পড়ে তেমনি আমাদের মস্তিষ্কের ওপর এর প্রভাব দেখা যায়।
মস্তিষ্কে কারটিসোল নামক হরমোন ক্ষরিত হওয়ার ফলে মস্তিষ্কের সিন্যাপ্স কে নষ্ট করে দেয়। সিন্যাপ্স মস্তিষ্কের নিউরন এর মধ্যকার সংযোগ বজায় রাখে। সংযোগ যখন ব্যহত হতে থাকে তখন স্মৃতিশক্তি নষ্ট হতে থাকে। সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন।
৪) অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেওয়া ও দুশ্চিন্তা করা–
দুশ্চিন্তার কারণে স্ট্রেস হরমোন কারিসোল ক্ষরিত হয়, যা নিউরনের মধ্যেকার সংযোগে বাঁধা সৃষ্টি করে। সুতরাং আমাদের উচিত অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করে সব সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় সেটি খুঁজে বার করা।