বেগুনি শাড়ি, রঙিন ব্লাউজ, আর পল্লু সরিয়ে সাহসী লুকে এক বিবাহিত মহিলার ভাইরাল ভিডিও ঘিরে নেটমাধ্যমে তীব্র আলোড়ন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ইনস্টাগ্রাম জুড়ে, দর্শকেরা প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দেন মন্তব্যের ঘর।
নেটদুনিয়ায় ‘ব্রালেস’ ভিডিওর হঠাৎ উত্থান
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক বিবাহিতা ভারতীয় মহিলা নিজের ঘরে দাঁড়িয়ে সাহসী ভঙ্গিমায় ভিডিও তুলছেন। বেগুনি রঙের শাড়ি ও উজ্জ্বল ব্লাউজ পরে তিনি নিজের পল্লু ইচ্ছাকৃতভাবে সরিয়ে ফেলেন, যার ফলে তাঁর বোল্ড লুক স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ভিডিওটির প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে তাঁর ‘ব্রালেস’ উপস্থিতি।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowমাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। লাখ লাখ ভিউ, হাজার হাজার লাইক আর প্রশংসায় ভরতি কমেন্টস জানিয়ে দেয়, কতটা দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই কনটেন্ট। দর্শকদের মধ্যে বেশিরভাগই যুবক, যারা আগুন ইমোজি এবং সাহসিকতার প্রশংসায় কমেন্ট সেকশন ভরিয়ে দেন।
ভাইরাল হওয়ার এই প্রবণতা নতুন নয়
এই ঘটনাটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ‘দেশি ভাবি’, গৃহবধূ কিংবা সাধারণ মহিলাদের মাঝেও ভাইরাল হওয়ার এই ট্রেন্ড দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁদের বেশিরভাগ ভিডিওতে নজর কাড়ে সাহসী পোশাক, কখনও ব্রা ছাড়া লুক, কখনও গভীর কাট ব্লাউজ—যা সাধারণত বাড়ির বা খোলামেলা প্রকৃতির পটভূমিতে তোলা হয়। এ ধরনের ভিডিওতে প্রায়শই স্থানীয় বা ফোক গানের ব্যাকগ্রাউন্ডে দেখা যায় সেই সাহসী লুক। অনেকের জন্য এই ভিডিওগুলো পরিচিতি পাওয়ার এক মাধ্যম, আবার অনেক সময় তা হয়ে ওঠে বিতর্কের কারণ।
এই ধরণের কনটেন্ট সমাজে এক নতুন বাস্তবতা তুলে ধরছে। সাধারণ মানুষ, বিশেষত মহিলারা—নিজের পরিচয়, দেহ এবং ভাবনার মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। অনেক সময় এগুলো সাহসিকতার প্রকাশ হলেও তা আবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুও হয়ে ওঠে। নেটদুনিয়া যেমন সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছে, তেমনই সেটি দায়িত্বের প্রশ্নও তুলেছে। ভাইরাল হওয়ার তাগিদে কী ধরনের কনটেন্ট তৈরি করা উচিত—সে প্রশ্ন থাকছেই।