‘দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য দায়ী নোটবন্দি। মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’ নোটবন্দির চতুর্থ বর্ষ পূর্তিতে এমনটাই শোনা গেল লোকসভা কংগ্রেস দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মুখে। তবে এই দিন কেবল তিনি নন, বাকি কংগ্রেস নেতাদের ও দেখা গিয়েছে নোটবন্দিকে নিয়ে সমালোচনা করতে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Now
তবে আজ অধীর চৌধুরী নোটবন্দির সেই সমালোচনাকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য স্তরে। তিনি বলেন,” নোটবন্দির জন্যই দেশের অর্থনীতির এই দুর্দশা। নোটবন্দির মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনি দেশের সর্বনাশ নিজে ডেকে এনেছেন। এইবার সেই জন্য ক্ষমা চাওয়ার সময় এসেছে। মানুষের কাছে ক্ষমা চান৷ নোটবন্দি, জিএসটি এবং তুঘলকি নীতি তে দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত সব টাই আঘাত এনেছে দেশের মানুষদের ওপর। ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মানুষ। আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না তারা। তুঘলকি সিদ্ধান্ত ভেঙে দিয়েছে ভারতের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। তাই প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। এমনটা অন্তত আমি মনে করি”।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে তার তিনি এইদিন বলেন যে তিনি মনে করেন কোনও সিদ্ধান্ত ই সঠিক ছিলনা প্রধানমন্ত্রীর। নোটবন্দির সিদ্ধান্ত যে কারণে তিনি নিয়েছিলেন, সেটিও পূরণ হয়নি। এমনটাই দাবি করেছেন অধির রঞ্জন চৌধুরী। তার বক্তব্য,”বলা হয়েছিল নোট বাতিল করলে নাকি দেশে সন্ত্রাস বন্ধ হবে। কারণ সব সন্ত্রাসের পিছনে ছিল কালো টাকা।। তা সন্ত্রাস কি বন্ধ হয়েছে? একবার কাশ্মীরের দিকে তাকিয়ে দেখুন। সন্ত্রাস যেমন ছিল ঠিক তেমনটাই আছে। বিলোপ করা হল ২৭০ ধারা। তারপর সন্ত্রাসে ভরে গেল গোটা কাশ্মীর। তবে কেবল কাশ্মীর নয়, দেশের অন্য স্থানেও একই অবস্থা। অন্য দিকে বলা হয়েছিল জাল টাকা রুখে দেওয়ার কথা। কিন্তু তা ও তো হয়নি।”
এইদিন তিনি জানান, “নোটবন্দির একটাও উদ্দেশ্য তো সফল হয়েছে বলে তো আমি দেখতে পারছিনা। অন্যদিকে ডিজিটাল ইকোনমি? সেটাও চালু হয়নি দেশে। ৫০ লক্ষ মানুষ নোটবন্দির জন্য কাজ হারিয়েছে। নোট বন্দির কারণে সমস্যায় পরেছেন বহু ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পও।”