কর্ণাটক রাজ্যে উচ্চশিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এক নতুন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে — “দীপিকা স্টুডেন্ট স্কলারশিপ”। রাজ্যের সিড্ডারামাইয়া সরকারের উদ্যোগে ও আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন-এর সহযোগিতায় এই স্কলারশিপ কার্যক্রম আগামী শিক্ষাবর্ষ ২০২৫-২৬ থেকে বাস্তবায়িত হবে। মূলত, এই প্রকল্পে সুবিধা পাবেন পুরে-পুরি সরকারি কলেজ/স্কুল থেকে প্রি-ইউনিভার্সিটি কোর্স (PUC) শেষ কর’ve মেয়েরা যারা সাধারণ, পেশাদার বা ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হচ্ছেন। যেসব মেয়েরা এই সিদ্ধান্তগ্রহণ করেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি বছরে ৩০,০০০ প্রদান করা হবে শিক্ষার খরচ মেটাতে।
Deepika Student Scholarship
প্রথম পর্যায়ে আনুমানিক ৩৭,০০০ মেয়েকে এই স্কলারশিপ দেওয়া হবে। তবে যদি আরও বেশি সংখ্যক মেয়েই আবেদন করেন এবং শর্তে অধিষ্ঠিত হন, তাহলে রাজ্য সরকার তাদেরকেও সুযোগ দেবে। অর্থাৎ, “যে-যত বেশি” সুযোগ পেতে পারে, ততটাই দেওয়া হবে। এই স্কলারশিপের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা দেওয়া নয়, বরং উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করা, সামাজিক বৈষম্য কমানো, এবং লিঙ্গ ভিত্তিক শিক্ষার ব্যবধান কমিয়ে আনাও। অনেক পরিবার এখনও মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় খরচ করতে দ্বিধাবোধ করে — এমন পরিস্থিতিতে এই ধরনের সরকারি উদ্যোগ মেয়েদের স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা অনেক কমিয়ে দেবে।
যোগ্যতার শর্তাবলী:
মেয়েটি প্রি-ইউনিভার্সিটি কোর্স PUC শেষ করেছে সরকারি কলেজ বা সরকারি স্কুল থেকে।
যে উচ্চশিক্ষার কোর্সে ভর্তি হয়েছে তা হতে পারে সাধারণ ব্যাচেলর ডিগ্রি, পেশাদার ডিগ্রি অথবা ডিপ্লোমা।
প্রতিবার বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে নন-ফেইলার হিসেবে।
এই প্রকল্পটি শুধু অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাপ্রাপ্তিদের জন্যই নয়, বরং সমাজে শিক্ষিত নারী জনসংখ্যার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। শিক্ষিত মেয়েরা শুধু পরিবারের না, সমাজের উন্নয়নেও অবদান রাখতে পারে। আশা করা হচ্ছে, “দীপিকা স্কলারশিপ” অনেক মেয়ের কাছে শিক্ষার দরজা খুলে দেবে, যাদের আগেই অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।