অফবিট

মৃত্যুটাও এখন ঠিক যেন ‘Made in China’

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি : ভারতবর্ষের প্রতিবেশী দেশ চীন। চীনের প্রযুক্তির উন্নতির জন্য ভারতের অনেকেই পড়াশোনা শেষ করে চীনে চলে যান। চীনের প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য চিনে অনেক বেড়াতে যান। তবে বর্তমানে চীনের পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক। ভারতের উত্তরে হিমালয় পর্বত শ্রেণী থাকার জন্য চীন থেকে আগত ঠান্ডা হাওয়া ভারতে প্রবেশ করতে না পারলেও, চীনে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস সেই করোনাভাইরাস কিন্তু হিমালয় পর্বতের সীমা-পরিসীমা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছে। যা সত্যিই বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে অনেকের। কয়েকদিনের মধ্যেই মৃত্যু-মিছিল দেখা গিয়েছে গোটা চীন শহরে।

Advertisement
Advertisement

চিনা দ্রব্যসমূহ আমাদের প্রত্যেকটা দিন অতিবাহিত হয়। কোনটার প্রভাব বেশি কোনটার প্রভাব কম। চীনা মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ওষুধ, বাচ্চাদের খেলনা, দোলের সময় আবির রং, ইলেকট্রনিক্স জিনিস সবকিছুই চীন দেশ থেকে এদেশে আসে। আবার এদেশ থেকে সামুদ্রিক মাছ, প্রাণী ইত্যাদি অনেক খাবার হিসেবে চীন দেশে যায়। আমদানি এবং রপ্তানি সবকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যবসা ক্ষেত্রে বিশাল ক্ষতি হয়ে গেছে। মানুষ অনেকটা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে মুরগির মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। ভারতের সামুদ্রিক মাছ, অক্টোপাস ইত্যাদি যা চিনে রপ্তানি হতো তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এই ধরনের মাছ ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এবারের দোলের শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী তে করনা ভাইরাসের আতঙ্কের জন্য দোল উৎসব বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক দর্শনীয় স্থান করোনাভাইরাস এর আতঙ্কের জন্য অনির্দিষ্টকালীন ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাচ্চাদের স্কুল-কলেজে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুরগির মাংস খাওয়া প্রায় মানুষ বন্ধই করে দিয়েছে, এর ফলে মুরগী ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির দিন দেখছেন। অনেক জীবনদায়ী ওষুধ চীন থেকে আসা বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু চীন নয় গোটা বিশ্ব করনা ভাইরাসের আতঙ্কে আতঙ্কগ্রস্ত। জানানো হচ্ছে, যতক্ষণ না প্রচন্ড গরম পড়বে ততক্ষণ এই ভাইরাসের কোন মৃত্যু নেই।

Advertisement

আরও পড়ুন : করোনা রুখতে সাফল্যের পথে কানাডার বাঙালি বিজ্ঞানী

Advertisement
Advertisement

তাই মনে হচ্ছে মানুষের মৃত্যুটাও এখন made-in-china হয়ে গেল বুঝি। চীনের যে সমস্ত রাস্তা ব্যস্ত থাকত, মানুষের পদধূলিতে, সেই সমস্ত রাস্তায় আজ পরিণত হয়েছে শ্মশানে। গোটা বিশ্ব চিন্তিত। হোলি বা দোল উপলক্ষে যে আবির রং বিক্রি হয় মানুষ করোনাভাইরাস আতঙ্কের জন্য অনেকেই রং কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ তাদের মনে হচ্ছে যে এই সমস্ত রং যদি চিন থেকে আনা হয় তো সেখানে করোনাভাইরাস হওয়ার একটা ভয় সেখানে থেকেই যাচ্ছে। শুধুমাত্র রং নয় বিভিন্ন ধরনের বাচ্চাদের খেলনা, পিচকিরি ইত্যাদিও কেনার পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। দোলের আগে ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট ক্ষতির মুখে পড়ছেন। সব মিলিয়ে গোটা ভারত সহ চীন এবং গোটা বিশ্বে এই একটা আতঙ্কের চেহারা সুস্পষ্ট হয়ে পড়েছে। ভারতে কয়েক জনের মধ্যে করোনাভাইরাস এর জীবাণু পাওয়া গেছে। কিন্তু গোটা ভারত বর্ষ তৎপর হয়ে গেছে এটিকে মোকাবিলা করার জন্য। চীন যথেষ্ট উন্নত দেশ চীনের পক্ষেও এটিকে একেবারে নির্মূল করে ফেলা সম্ভব হয়নি। তবে ভারত যথেষ্ট আশাবাদী। ভাইরাসের আগমনকে তো কিছু করেই বন্ধ করা যাবে না, কিন্তু আক্রান্ত হলে তারপরে মোকাবিলা করতে ভারত একেবারে প্রস্তুত।

Advertisement

Related Articles

Back to top button