সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে জুলাই মাসে ঢুকতে পারে একাধিক বেতনের সমান টাকা। শুধু মূল বেতন নয়, ধাপে ধাপে মিলতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance)-ও। এমনই জোর জল্পনা রাজ্য প্রশাসনে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই তড়িঘড়ি হিসেবনিকেশে নামে নবান্ন। জানা যাচ্ছে, প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে গিয়েছে ডিএ পাওয়ার যোগ্য কর্মীদের তালিকা তৈরির কাজ।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতালিকাভুক্ত কর্মীদের মধ্যে থেকেই জুলাই মাসে বেতনের পাশাপাশি দ্বিতীয় একটি অর্থপ্রদান হতে পারে। এই দ্বিতীয় অর্থপ্রদান মূলত বকেয়া ডিএ বাবদ দেওয়া হবে। অনেক কর্মীর বক্তব্য, যেহেতু ডিএ-র টাকা অনেকটা বেশি অঙ্কের, তাই এটি কার্যত দ্বিতীয় বেতনের মতোই মনে হতে পারে।
তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে অফিসিয়ালভাবে এই অর্থপ্রদানের ধাপ বা সময়সীমা নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। তবে নবান্ন সূত্রে ইঙ্গিত, ২৭ জুনের মধ্যেই বকেয়া ডিএ-র টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদিও কিছু কর্মচারীর মতে, পুরো অর্থ একবারে না দিয়ে ধাপে ধাপে দেওয়ার পরিকল্পনাও থাকতে পারে। তবে তা নিয়েও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
জুলাই মাসে কি সত্যিই দু’বার বেতন পাবেন সরকারি কর্মীরা?
→ সরকারি বেতন তো মিলবেই, সঙ্গে মিলতে পারে বকেয়া ডিএ-র বড় অঙ্ক। অর্থাৎ, দু’টি পৃথক ট্রান্সফারের সম্ভাবনা প্রবল।
কারা এই বকেয়া ডিএ পাবেন?
→ যাঁরা তালিকাভুক্ত সরকারি কর্মী, কেবলমাত্র তাঁরাই এই অর্থ পাবেন। তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ।
পুরো টাকা একবারেই মিলবে, না কি কিস্তিতে?
→ সরকারিভাবে এখনও স্পষ্ট নয়, তবে কিছু সূত্রের দাবি, ধাপে ধাপে অর্থ দেওয়া হতে পারে।
ডিএ পাওয়ার এই সিদ্ধান্ত কীভাবে এল?
→ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এই টাকা কবে নাগাদ কর্মীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারে?
→ সরকার জানিয়েছে, ২৭ জুনের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। অর্থাৎ, জুলাই মাসের শুরুতেই ট্রান্সফার সম্ভব।
সব মিলিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে একপ্রকার উৎসবের আবহ। দীর্ঘদিনের দাবি, আন্দোলন ও আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে মিলছে প্রাপ্য অর্থ। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনও অনেক প্রশ্ন রয়েছে, তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হবে সব কিছু।