করোনা মহামারির ধাক্কায় বন্ধ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের ডিএ এবং ডিআর-এর বর্ধিত হারে প্রদানের প্রক্রিয়া। দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে স্থগিত ছিল এই বকেয়া। সেই সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মিলল না আশার আলো। সম্প্রতি দিল্লিতে আয়োজিত জাতীয় পর্ষদের (JCM) ৬৩তম বৈঠকে এই বিষয়টি ফের আলোচনায় উঠে আসে।
২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বন্ধ ছিল কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ডিএ ও পেনশনভোগীদের ডিআর-এর অতিরিক্ত হারে মঞ্জুরি। এই সময়টা ছিল মহামারির কঠিন সময়। যদিও সরকারি কর্মীরা সম্পূর্ণ পরিষেবাই দিয়ে গিয়েছেন সেই সময়েও।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowবৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্মী পক্ষের প্রতিনিধি শিবগোপাল মিশ্র এবং এম. রঘবাইয়া। তাঁদের দাবি, কর্মচারীদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব পালন সত্ত্বেও তাঁদের প্রাপ্য অর্থ আটকে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে এই ১৮ মাসের বকেয়া ফেরত দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানান তাঁরা।
তবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অতিমারির সময় দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত সংকটজনক। সেই সময় সরকারের পক্ষ থেকে বহু সামাজিক প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বকেয়া পরিশোধ সম্ভব নয়।
এই বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়—অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission)। কিছু নিয়োগ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লক্ষ্য, ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন কাঠামো চালু করা। তবে দেরি হলে সেই অনুসারে বকেয়া পরিশোধের বিষয়টিও বিবেচনায় আনা হবে।
পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য গোষ্ঠী বিমা প্রকল্প (CGEGIS)-এর একটি নতুন রূপান্তরিত প্রস্তাবও পেশ করা হয়েছে। অর্থ দফতর শীঘ্রই এই পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য কর্মী পক্ষকে জানাবে।
কী জানা গেল এই বৈঠক থেকে?
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
ডিএ ও ডিআর-এর বকেয়া কবে থেকে স্থগিত ছিল?
২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময়কাল স্থগিত ছিল।
কারা এই বকেয়া ফেরতের দাবি তুলেছেন?
কর্মী সংগঠনের নেতারা, যেমন শিবগোপাল মিশ্র ও এম. রঘবাইয়া।
অর্থ মন্ত্রকের অবস্থান কী এই বিষয়ে?
সরকারের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে বকেয়া দেওয়া আপাতত সম্ভব নয়।
অষ্টম বেতন কমিশনের অগ্রগতি কতটা?
কিছু নিয়োগ ইতিমধ্যেই হয়েছে, পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৬ থেকে তা চালুর।
গোষ্ঠী বিমা প্রকল্পে কী পরিবর্তন আসছে?
CGEGIS-এর নতুন রূপ শীঘ্রই কর্মী পক্ষের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে।