বকেয়া ডিএ মামলা ঘিরে ফের উত্তেজনা তুঙ্গে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির ঠিক আগে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। সরকারি কর্মীদের একাংশের মতে, ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করানোর জন্য রাজ্য সরকার নতুন কৌশল নিতে চলেছে। তাঁদের সন্দেহ, আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করতে একেবারে শেষ মুহূর্তে একটি ত্রুটিপূর্ণ MA (মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন) দাখিল করতে পারে রাজ্য সরকার।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কী উদ্দেশ্য সফল হতে পারে সরকারের? কর্মীদের ব্যাখ্যায়, যখন আদালত সেই আবেদন সংশোধনের নির্দেশ দেবে, তখন রাজ্য পাবে বাড়তি সময়। যার ফলে ডিএ প্রদানের প্রক্রিয়া আরও পিছিয়ে যেতে পারে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকোন কোন কৌশলের আশঙ্কা করছেন কর্মীরা?
সরকারি কর্মীদের তরফে কয়েকটি সম্ভাব্য “দিলেই-না-দেওয়ার” কৌশলের ইঙ্গিত মিলেছে:
শেষ মুহূর্তে আবেদন: নির্ধারিত তারিখের ঠিক আগে আবেদন করে আদালতের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার চেষ্টা।
বকেয়ার পরিমাণ নিয়ে বিভ্রান্তি: কারা ডিএ পাওয়ার যোগ্য এবং কত মাসের বকেয়া রয়েছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
কিস্তিতে বকেয়া পরিশোধের প্রস্তাব: পুরো টাকাটা একবারে না দিয়ে তিনটি ভাগে দেওয়ার প্রস্তাব আদালতে জানানো হতে পারে।
কর্মীদের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি
সরকারের সম্ভাব্য কৌশলের মুখে সরকারি কর্মীরা জানিয়েছেন, কোনও অবস্থাতেই তাঁরা হাল ছাড়বেন না। তাঁদের মতে, শেষ পর্যন্ত আদালতের রায় তাঁদের পক্ষেই যাবে। এমনকি ৫০% ডিএ একসঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ আসতে পারে বলেও তাঁরা আশা করছেন।
প্রয়োজনে সংগঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচি ও দপ্তরে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, শুধু আদালতের ওপর ভরসা করলেই চলবে না, নিজেদের শক্তি মাটিতে দেখাতে হবে।
দুর্নীতি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
তবে শুধুই বিলম্ব নয়, অভিযোগ উঠেছে আরও মারাত্মক। কর্মীদের দাবি, সরকারপন্থী কিছু ফেডারেশনকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যেমন, বাড়ির কাছে পোস্টিং, অফিস আওয়ারের বাইরে বেরনোর অনুমতি ইত্যাদি। এর মাধ্যমে একাংশকে সন্তুষ্ট রেখে বৃহত্তর কর্মীবাহিনীকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
প্রশ্নোত্তর: FAQ
১. বকেয়া ডিএ মামলার বর্তমান অবস্থা কী?
মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কর্মীরা আদালতের চূড়ান্ত রায় আশায় দিন গুনছেন।
২. রাজ্য সরকারের সম্ভাব্য কৌশল কী হতে পারে?
তাঁদের আশঙ্কা, শেষ মুহূর্তে ত্রুটিপূর্ণ আবেদন দাখিল করে বিলম্ব ঘটানো হতে পারে।
৩. কর্মীদের কী দাবি?
সরকার যেন দ্রুত এবং পূর্ণমাত্রায় বকেয়া ডিএ প্রদান করে। প্রয়োজনে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা।
৪. বকেয়া ডিএ কী কিস্তিতে দেওয়া হতে পারে?
এমন সম্ভাবনার কথা উঠলেও, কর্মীরা তা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, সম্পূর্ণ টাকা এককালেই দিতে হবে।
৫. দুর্নীতির অভিযোগ ঠিক কী?
সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু কর্মী সংগঠনের প্রতি পক্ষপাত দেখিয়ে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।