Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

রবিবার ভারতের মাটিতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘টাউকতে’, সতর্কবার্তা জারি উপকূলে

টাউকতে বলুন কি তৌক্তে, দক্ষিণ পশ্চিম ভারতের মানুষের কাছে নামটি এখন একটি অশনি সংকেতের মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যায় গতবছর আছড়ে পড়া আমফানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে সবাই অবগত। একেবারে…

Avatar

By

টাউকতে বলুন কি তৌক্তে, দক্ষিণ পশ্চিম ভারতের মানুষের কাছে নামটি এখন একটি অশনি সংকেতের মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যায় গতবছর আছড়ে পড়া আমফানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে সবাই অবগত। একেবারে পশ্চিম ভারতে আসতে চলেছে আমফানের দোসর এই টাউকতে। সূত্রের খবর অনুযায়ী আগামী রবিবার এই টাউকতে আছড়ে পড়তে চলেছে ভারতের পশ্চিম উপকূলে।

দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের মানুষের কাছে বর্তমানে এই ঝড় একেবারে বিভীষিকাসম। লাক্ষাদ্বীপ এবং পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের উপরে এই ভয়াল ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই ভারতের দক্ষিণ এবং পশ্চিম উপকূলের দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। আগামী রবিবারের মধ্যে গুজরাট এবং পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান উপকূলে পৌঁছে যাবে টাউকতে। তার ফলে গুজরাট সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

গুজরাট উপকূলে পৌঁছতে পৌঁছতে এই ঝড় মোটামুটি মঙ্গলবার অবধি সময় নিতে পারে। তবে, আম্ফান এর ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মতো নয়, গুজরাটের মানুষের হাতে কিছুটা সময় রয়েছে। কারণ ভারতবর্ষের দক্ষিণ উপকূলে এই ঝড় আছড়ে পড়বে রবিবার। তারপরে বোঝা যাবে আসলে সুপার সাইক্লোন আম্ফান এর মত ক্ষমতা বিশিষ্ট কিনা টাউকতে। হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী আগামী ১৬ মে ভারতবর্ষের দক্ষিণ উপকূলের বেশকিছু রাজ্যে এই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে।

আবহাওয়া দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকর্তা সুনিতা দেবী জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না এই ঝড় আম্ফান এর মত আকার ধারণ করবে কিনা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড় আসলে তা ভারতের পক্ষে একেবারেই ঠিক হবেনা। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা অত্যন্ত গুরুতর। সামুদ্রিক আবহাওয়া এবং পরিস্থিতি যদি নিম্নচাপ তৈরি করে তাহলে হয়তো এই ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হয়ে ভারতের মাটিতে আসবে।

ইতিমধ্যেই সর্তকতা জারি করে দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের জন্য। গোয়া, এবং গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকায় সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে এই ঘূর্ণিঝড় এক্ষেত্রে। তাই প্রথম ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূল বাহিনী একেবারে প্রস্তুত। সমস্ত মৎস্যজীবীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন তারা আগামী কয়েকদিনের জন্য সমুদ্রে যাওয়া বন্ধ করেন। অনেক জায়গায় ইতিমধ্যেই হলুদ সতর্কবার্তা জারি করে দেওয়া হয়েছে। আম্ফান যেভাবে একেবারে সময় না দিয়ে চলে এসেছিল, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে টাউকতের ক্ষেত্রে ভারতের পশ্চিম উপকূলের মানুষেরা কিছুটা সময় পাচ্ছেন। তাই সমস্ত রকম প্রচেষ্টা করে এই ঝড় আটকাতে উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা।

About Author