২০১৯ সালে চিনে প্রথম করোনা (Corona) আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ভাইসারের কমপক্ষে ৪টি প্রকারভেদ পাওয়া গিয়েছে। একটি রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (WHO)। ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস পরিবর্তনশীল রূপে পরিণত হয়েছ। গত ডিসেসম্বর মাসে ব্রিটেন (Britain) সরকার ভাইরাসের নতুন এক প্রকারভেদের কথা ঘোষণা করে। কয়েকদিনের মধ্যেই ভাইরাসের এই নয়া স্ট্রেন আতঙ্ক ছড়ায় বিশ্বজুড়ে। নতুন এই স্ট্রেনের সংক্রমণের ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি বলেও জানান গবেষকরা।
অন্যদিকে গত বছরের ডিসেম্বরেই SARS-CoV-2-এর নতুন একটি ধরনের করা জানায় দক্ষিণ আফ্রিকাও। ভাইরাসের নয়া এই রূপ দ্রুত ৩টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলেও জানান হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ভাইরাসের নয়া রূপের নাম দেয় 501Y.V2। দক্ষিণ আফ্রিকায় মেলা নতুন ধরনের এই ভাইরাসের খোঁজ আরও ৪টি দেশে পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএদিকে ব্রিটেনের এই ভাইরাস ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে ভারতেও। ব্রিটেনে থেকে দেশে ফেরা বেশ কয়েক জনের দেহে মিলেছে ভাইরাসের নয়া স্ট্রেনের উপস্থিতি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুক্রবারের ঘোষণা অনুযায়ী দেশে এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের দেহে পাওয়া গিয়েছে করোনার নতুন এই স্ট্রেনের উপস্থিতির প্রমাণ। যার মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপও করেছে ভারত সরকার। পাশাপাশি এই ভাইরাস নিয়ে কালচারও করেছে ভারত। আইসিএমআর-এর তরফে এক ট্যুইটে জনানো হয়েছে, প্রথম দেশ হিসেবে ভারতই ইউকে-র এই ভাইরাসের সফল কালচার করেছে।