বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নৈহাটি, বচসা স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের

Advertisement

Advertisement

বৃহস্পতিবার হঠাৎ বিস্ফরণে কেঁপে উঠল নৈহাটির রামঘাট এলাকা। কিছুদিন আগেই নৈহাটির মামুদপুরে বিস্ফরণ হয় একটি বাজি কারখানায়। সেই বাজি কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ প্রচুর পরিমান বাজি বাজেয়াপ্ত করে।সেই বাজিগুলিকে রামঘাট এলাকায় নিস্ক্রিয় করতে গিয়েই এই বিপত্তি। নৈহাটির রামঘাট সংলগ্ন এলাকায় সেই বাজিগুলিকে নিস্ক্রিয় করার কাজ করছিল পুলিশ। সেইসময় বাজিগুলি হঠাৎ বিস্ফরণ করে ফেটে ওঠে। এরফলে রামঘাটের পার্শ্ববর্তী এলাকা চুঁচুড়াতে কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রামঘাটের বেশ কিছু বাড়ির কাচের দরজা,জানলা ভেঙে পড়ে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত বাজিগুলিকে নিস্ক্রীয় করতেই এই বিপত্তি। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়,বচসার ফলে উত্তেজিত বাসিন্দারা পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে একটি জনবহুল এলাকায় পুলিশ বাজি নিস্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নিল তা তাদের কাছে অস্পষ্ট।

Advertisement

আরও পড়ুন : ধর্মঘটে মালদার সুজাপুরে হামলার ভার নিল CID, গ্রেফতার ১২

Advertisement

১০০ থেকে ১৫০ মিটার দুরেই ছিল পুলিশের গাড়ি, স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের বচসার পর স্থানীয়রা ওই গাড়ি দুটিতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর উঠে আসেনি।স্থানীয় দের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন,কিকরে তারা এমন জনবহুল এলাকায় এমন কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলেন।

পুলিশের মতে, তারা বুঝতে পারেননি এমন এক বিপত্তির সৃষ্টি হবে। বিশেষ উল্লেখ্য, এর আগে নৈহাটির বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর বাজির তীব্রতা নিয়ে ওইসময় নানান প্রশ্ন ওঠে। সেখানকার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং দাবি তখন করেছিলেন, “ওই কারখানায় সাধারন বাজি নয়, তৈরি হচ্ছিল অতি শক্তিশালী বোমা।” কীভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে দিনের পর দিন কারখানা চলছিল তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে এমন ঘটনার জন্য আবারও জোরালো হল বিভিন্ন প্রশ্ন।