Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

Raju Srivastav’s Death: প্রয়াত কৌতুকশিল্পী রাজু শ্রীবাস্তব, ৫৮’তেই পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে

যার এক ঝলকে মন খুলে হেসে উঠছেন সকলে তিনি এবার পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। বলিউডের বিখ্যাত কৌতুকশিল্পী রাজু শ্রীবাস্তব প্রয়াত হলেন। আজ, বুধবার হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।…

Avatar

যার এক ঝলকে মন খুলে হেসে উঠছেন সকলে তিনি এবার পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। বলিউডের বিখ্যাত কৌতুকশিল্পী রাজু শ্রীবাস্তব প্রয়াত হলেন। আজ, বুধবার হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। গত আগস্ট মাস থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এই কৌতুকশিল্পী। দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনে মৃত্যুর সাথে লড়াই করেছেন শিল্পী। তবে শেষপর্যন্ত শেষ রক্ষা হল না। সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে চোখ বুঝলেন তিনি।

কানপুরের ছেলে রাজু শ্রীবাস্তব। ১৯৬৩’র ২৫’শে ডিসেম্বর জন্ম হয় তার। কানপুরের অন্যতম জনপ্রিয় কবি রমেশচন্দ্র শ্রীবাস্তবের ছেলে তিনি। বাবা নাম রেখেছিলেন সত্যপ্রকাশ শ্রীবাস্তব। তবে ছোট থেকেই কানপুরবাসীর মাঝে ও নিজের ঘনিষ্ঠমহলে রাজু নামেই পরিচিত ছিলেন। ছোট থেকেই কৌতুকশিল্পী হওয়ার ইচ্ছা ছিল মনে। কানপুরে তার বেশ নাম ডাকও ছিল সেইসময়। যে কোন মানুষকে নকল করার ক্ষমতা ছিল প্রবল। যখন তখন হাসিয়ে দিতে পারতেন যে কাউকে। আর সেই সূত্র ধরেই অনেকেই তাকে সময় অসময়ে ডেকে নিতেন। তবে তার লক্ষ্য ছিল বলিউড। ইচ্ছা শক্তির জোরে নিজের সেই স্বপ্নও পূরণ করেছিলেন রাজু।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

কৌতুকশিল্পী হওয়ার ইচ্ছাই তাকে কানপুর থেকে মুম্বাই শহরে টেনে নিয়ে এসেছিল। মুম্বাইতে এসেই সাথে সাথে সুযোগ পাননি তিনি। বেশ দীর্ঘসময় কষ্ট করতে হয়েছে রাজু শ্রীবাস্তবকে। সময়ের সাথে সাথে তার জেদ বেরিয়েছিল আরো। ১৯৮৮’তে অনিল কাপুর ও মাধুরী অভিনীত ‘তেজাব’এ একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান রাজু। ‘ম্যানে পেয়ার কিয়া’তেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাকে। ঐ সময়টায় একাধিক ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে দেখা মিলেছিল তার।

তবে বলাই বাহুল্য রাজ শ্রীবাস্তব এর আসল জায়গা ছিল মঞ্চ। দর্শকদের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে তাদের হাসানোর ক্ষমতা রাখতেন তিনি। বলিউডে স্ট্যান্ড আপ কমেডির ব্যাপারটা তাদের মত শিল্পীরাই আরো বেশি করে তুলে ধরেছিল সকলের সামনে। তাদের মধ্যে তিনি যে অন্যতম একজন ছিলেন, তা অবশ্য আলাদাভাবে বলার অপেক্ষা রাখছে না।

জনপ্রিয় কমেডি শো ‘দ্যা গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ’এর রানার্স আপ হয়েছিলেন রাজু শ্রীবাস্তব। এরপর থেকেই দর্শকদের মাঝে কৌতুকশিল্পী হিসেবে তার জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া হয়। উল্লেখ্য, তিনি ‘দ্যা গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ-চ্যাম্পিয়নস’এর ‘দ্যা কিং অফ কমেডি’র খেতাবও জিতেছিলেন রাজু। তার আবিষ্কৃত ‘গজধর ভাইয়া’ চরিত্রটি শুরু থেকেই পরিচিত সকলের কাছে, যা মনে থেকে যাবে তার অনুরাগীদের।

১৯৯৩’তে শিখা শ্রীবাস্তবের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তাদের দুটি সন্তান অন্তরা ও আয়ুষ্মান। মাত্র ৫৮ বছর বয়সেই সকলকে কাঁদিয়ে হাসির যাত্রা শেষ হল তার। উল্লেখ্য, সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন রাজু শ্রীবাস্তব। প্রথমে সমাজবাদী পার্টির তরফ থেকে তাকে ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট দেওয়া হলে তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীকালে ‘আমজনতা পার্টি’ অর্থাৎ ‘বিজেপি’তে সক্রিয় কর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’এরও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিলেন রাজু শ্রীবাস্তব। বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল।

দলের কাজেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন রাজু শ্রীবাস্তব। দলের বিশিষ্ট কয়েকজন নেতাদের সাথে দেখা করার জন্যই দিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে সেখানে থাকাকালীন হোটেলেরই জিমে শরীরচর্চা চালিয়ে যেতেন এই কৌতুকশিল্পী। শরীরচর্চা করার সময়ই বুকে ব্যথা নিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন রাজু। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। সেই থেকেই বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন শিল্পী। তবে শেষপর্যন্ত শেষ রক্ষা হল না। সকলের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েই প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত কৌতুকশিল্পী রাজু শ্রীবাস্তব।

About Author