নিউজরাজ্য

জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় পরিযায়ী তাঁত শ্রমিকরা বাড়ি ফিরলেন কোচবিহারে

Advertisement
Advertisement

মলয় দে, নদীয়া:- শিল্পের উপযুক্ত মূল্য পেতে, সংসারের তাগিদে কোচবিহারের এই তাঁত শিল্পীরা পাড়ি দিয়েছিলেন বিগত দিনে অন্য প্রদেশে কিংবা অন্য জেলায়। কেউ বা এসেছেন দু তিন বছর, অনেকে বা তারও অনেক বেশি। লকডাউনে মহাজনের ছোট্ট কারখানায় গৃহবন্দি করেছিলেন নিজেদের। কিন্তু সময়সীমার অনিশ্চয়তায় প্রায়ই মনে পড়ে পরিবার স্বজনদের কথা।

Advertisement
Advertisement

গণপরিবহন ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ বন্ধ, কর্মহীন এই তাঁত শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার তাগিদের কথা জানিয়েছিলেন প্রশাসনকে। এব্যাপারে স্থানীয় সি আই টি ইউ নেতা অনুপ ঘোষ দু তিনবার ডেপুটেশনে জমা দেন। স্থানীয় বিডিও সুমন দেবনাথ এর কাছে বিভিন্ন অঞ্চলের প্রধান, উপপ্রধান মেম্বারদের আবেদন অনুরোধ জমা হতে থাকে ক্রমশই। সংখ্যাও বাড়তে থাকে দিনে দিনে, অবশেষে এখনো পর্যন্ত ৮৮৫ জন।

Advertisement

আজ সেই চোখে জল আসা সুদিন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ছটি বাসে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই প্রত্যাবর্তনের পালা। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, বি ডি ও সুমন দেবনাথ, স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য সহ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক প্রতিনিধিদল থার্মাল স্কিনং এর মাধ্যমে বেলঘড়িয়া পঞ্চায়েত ২ অফিসের সামনে এক এক করে উঠে পড়লেন ১৫০ জন।

Advertisement
Advertisement

আগামী পয়লা মে বাদে প্রতিদিনই ছাড়বে এই বাস। ফুলিয়া ও শান্তিপুরের বহু মহজন একদিকে যেমন আনন্দিত, অন্যদিকে তাদের বিশ্বকর্মা দের ছেড়ে যাওয়ার বিষন্নতা। আন্তর্জাতিক বাজারে শান্তিপুরের তাঁত শিল্পের উৎপাদনের জন্য বর্তমানকালে নদীয়া জেলার এই অঞ্চল সুপ্রসিদ্ধ।

Advertisement

Related Articles

Back to top button