পরিবেশের পরিবর্তনে পাখিদের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলছে, চাঞ্চল্যকর মন্তব্য বিজ্ঞানীদের
শ্রেয়া চ্যাটার্জি- পরিবেশ পরিবর্তিত হচ্ছে ক্রমশ। যা মানুষের কাছে একেবারে অকল্পনীয় ঘটনা। এটি পাখিদের জীবনযাত্রা অনেকটা প্রভাব ফেলেছে। এ বিষয়ে ‘ন্যাশনাল অ্যাকাডেমী অফ সাইন্স’ – এর তরফ থেকে একটি গবেষণা, যা পরিচালনা করেছেন ‘ওয়াইল্ড ল্যান্ড এন্ড ইকোলজি সেন্টার’ এর অধ্যাপক ক্লার্ক রাসিং। তাদের গবেষণায় একটা তথ্য উঠে এসেছে, তা হল পাখিরা তাদের বসতির পরিসরকে অনেকটা বিস্তৃত করছে। উত্তর আমেরিকা থেকে পাখিদের দল অনেকটা উষ্ণ আবহাওয়ার জায়গায় প্রবেশ করছে। তারা তাদের বিস্তৃতিকে দক্ষিণেও ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এই তথ্যই প্রমাণ করছে, পরবর্তী কালের বিশ্ব উষ্ণায়ন কোনোভাবেই বেশ কিছু পাখিদের যেমন – লাল পেটওয়ালা কাঠঠোকরা, জীবনযাত্রার উপর প্রভাব ফেলতে পারবে না। নিউ ট্রপিকা পরিযায়ী পাখি যথা বান্টিং, ওয়ারব্লের্স, অরিওলেস, ফ্লাইক্যাচার্স প্রভৃতি পাখির দল উত্তর আমেরিকাতেই গ্রীষ্মকালে তাদের সন্তান জন্মের সময়কে ঠিক করেছে। আর শীতকাল হলে তারা পাড়ি দিচ্ছে ক্যারিবিয়ান, মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার পথে। গবেষণা এটাই দেখাচ্ছে, তারা কখনোই তাদের দক্ষিণের বসবাসস্থলকে একেবারে ছেড়ে দিয়ে উত্তরে গমন করছে না।
গত ৫০ বছরে পরিবেশের পরিবর্তনের জন্য সংখ্যা কমেছে অনেক পাখিদের। এইভাবে যদি পরিবেশের পরিবর্তন হতে থাকে তাহলে নিউ ট্রপিক্যাল পরিযায়ী পাখির সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে বলে গবেষকদের ধারণা। পরিযায়ী পাখিরা এমনিতেই মাইলের পর মাইল ভ্রমণ করতে পারে। তবে বিশ্ব উষ্ণায়ন তাদের জীবনযাত্রাকে ঠিক কিভাবে প্রভাবিত করবে? এ প্রশ্নের উত্তরে গবেষকরা বলছেন, শীতকালে এই পাখিগুলো যেখানে থাকছে সমস্যার কারণ এইখানে রয়েছে।
এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে গেলে প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে শক্তি। কিন্তু শীতকালে এই পাখিগুলো প্রচুর পরিমাণে খাবার খেতে পারছেনা, যার ফলে তারা শক্তি সঞ্চয় করতে পারছে না, এই কারণটি তাদেরকে অন্য জায়গায় চলে যেতে বাধ্য করছে। তবে গবেষণা এখনও বাকি রয়েছে। গবেষকরা এখনো পর্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। তবে বিশ্ব উষ্ণায়ন শুধু পাখিদের নয়, সমস্ত পৃথিবীর উপরেই একটা কুপ্রভাব ফেলতে চলেছে, তা নিঃসন্দেহে বেশ চিন্তার।