একুশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। আজ অর্থাৎ শনিবার, ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণপর্ব সম্পন্ন হয়েছে। আজকের চতুর্থ দফা নির্বাচন দক্ষিণবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতে হচ্ছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারেও আজ ভোট আছে। মোট ৪৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ৩৭৩ প্রার্থীর ভাগ্যপরীক্ষা হয়েছে। তবে আজ কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় উত্তাল হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে মোদি শাহ ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজের সমালোচনা করেননি। অন্যদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। অভিযোগ, শাহ এর নির্দেশে এইসব কাজ হয়েছে।
সেই সাথে তৃণমূল সুপ্রিমো আর জানিয়ে দিয়েছেন যে ক্ষমতায় এলে শীতলকুচি ঘটনা সিআইডি তদন্ত হবে। তিনি আজ শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে বলেছেন, সব ঘটনার কথা আমি জানতে পেরেছি। অনেকের ফোন থেকে ঘটনার ছবি ডিলিট করে দেয়া হয়েছে। তবে যদি আপনার কাছে ছবি থাকে তাহলে রেখে দিন। সব তথ্য প্রমাণ পরে কাজে লাগবে। এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যকে খন্ডন করে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর শিলিগুড়িতে এসে বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছে। কিন্তু সারাদিনে তো কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনো জওয়ানের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তাহলে কেন গুলি চললো? প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল মৃত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করা। কিন্তু উনি উল্টে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হয়ে কথা বলছেন।”
এছাড়া ঐদিন তৃণমূল সুপ্রিমো সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “ভয় না পেয়ে সবাই ভোট দিন। আর বেশি করে ভোট দেবেন। ভয় পাবেন না। বিজেপিকে হারাতে গেলে বেশি করে ভোট দেওয়া দরকার। বিজেপি জিতে গেলে মানুষকে অত্যাচার করবে। তাই ভবিষ্যতে বাংলার উন্নয়ন ও শান্তির জন্য সবাই নিজের ভোট দিন।”এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে তিনি আগামীকাল সকাল ১০ টার মধ্যে মাথাভাঙ্গায় যাবেন এবং মৃত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করবেন। এছাড়াও সেখান থেকে তারা অন্য জায়গায় ভোট প্রচার করতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে।