ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

E Shram Card: প্রতি মাসে ব্যাঙ্কে ঢুকবে ৩০০০ টাকা, এইভাবে আবেদন করুন সরকারি প্রকল্পে

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফে একগুচ্ছ জনকল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে। বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য মাথার উপরে পাকা ছাদ তৈরি করে দেওয়া, বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থার মতো একাধিক জনহিতকর প্রকল্প চালানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। তেমনি যারা দৈহিক শ্রম করে নিত্যদিনের রুজিরুটি চালান তাদের কথা চিন্তা করেও একটি বিশেষ প্রকল্প এনেছে সরকার। এই প্রকল্প নতুন না হলেও বহু মানুষের কাছেই এই প্রকল্প, এর সুযোগ সুবিধা অজানা থেকে গিয়েছে।

ই শ্রম কার্ডের (E Shram Card) মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য পেতে চলেছেন সারা দেশের মেহনতি মানুষরা। এই কার্ডের মাধ্যমে একেবারে ৩০০০ টাকা। সারা দেশে এমন বহু মানুষ রয়েছেন যারা কায়িক শ্রম করে দৈনিক অর্থ রোজগার করেন। এই আর্থিক সাহায্যে তাদের যে বড় লাভ হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেক দিন আগেই দেশের দরিদ্র মানুষদের অবসর জীবনকে সুরক্ষিত করতে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল সরকারের তরফে। কিন্তু কীভাবে আবেদন করবেন ই শ্রম কার্ডের জন্য? কীভাবেই বা পাবেন এই প্রকল্পের সুবিধা? জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য।

অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সুবিধার জন্যই ২০২১ সালে শ্রমিক কার্ড স্কিম শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করলে পাওয়া যাবে ই শ্রম কার্ড। এই কার্ড থাকলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে পেনশনের সুবিধা পাবেন শ্রমিকরা। ই শ্রম যোজনায় আবেদন করলে এই কার্ড পাওয়া যায়। এই কার্ড করলে যাদের কোনো স্থায়ী রোজগার নেই তাদের ৬০ বছর বয়সের পর থেকে ৩০০০ টাকা পেনশন দেয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার আওতায় কোনো দুর্ঘটনায় বিকলাঙ্গ হলে দেওয়া হয় ১ লক্ষ টাকা এবং মৃত্যু হলে পাওয়া যায় ২ লক্ষ টাকা বিমা। ই শ্রম কার্ডধারী ব্যক্তিদের সন্তানদের বাই সাইকেল আর স্ত্রীদের দেওয়া হয় সেলাই মেশিন। পাশাপাশি আবাস যোজনার সুবিধাও পাওয়া যায় এই কার্ডের মাধ্যমে।

এই কার্ড পেতে হলে বয়স হতে হবে ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। সরকারের কাছে আয়কর জমা দেওয়া বা ইপিএফও কিছুতে নাম থাকা চলবে না। ই শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে প্রথমে যেতে হবে অফিশিয়াল সাইটে। এরপর নিউ রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন অন ই লেবার বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আধার লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দিতে হবে। এরপর জরুরি তথ্য দিয়ে আবেদনপত্রটি পূরণ করে জরুরি নথিপত্র স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আবেদন গৃহীত হলে ই শ্রম কার্ড বাড়িতে পাঠানো হবে বা ডাউনলোড করা যাবে।

Related Articles

Back to top button