চলতি বছরের শুরুতে করোনা প্যানডেমিকের প্রভাব অনেকটা কমলেও এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই ভাইরাসের মিউট্যান্ট স্ট্রেন ভারতজুড়ে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছে। এখন সংক্রমণ হার এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে দৈনিক এই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ছে দেশের ৪ লাখের কাছাকাছি মানুষ। বিভিন্ন রাজ্যে আংশিক লকডাউন শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ রাজ্যের মত আংশিক লকডাউন শুরু হয়েছে বাংলাতেও। তবে এবার করোনা পরিস্থিতিতে ফের শহর কলকাতা এবং শহরতলীর একাধিক বাস মালিক সংগঠনের ভাড়া বাড়ানোর দাবি করেছে।
বাস মালিক সংগঠনের দাবী যে এই করোনা পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন বাসে যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে ঠিক অন্যদিকে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। দুটিকে সামঞ্জস্য রেখে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই নবগঠিত সরকার যাতে মাসের ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারটি সম্বন্ধে কর্ণপাত করে। এছাড়াও বাসের ভাড়া বাড়ানোর পাশাপাশি আরও ১০ টি দাবি রেখেছেন বাস মালিক সংগঠনগুলি। এমনকি তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে শহর এবং শহরতলীর মোট সাড়ে ৮০০ বাস তাদের সঙ্গে যুক্ত। বাসের ন্যূনতম বাস ভাড়া ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা করে দেওয়া হোক এবং পরবর্তী স্তরে সেটা ২০ থেকে ২৫ টাকা করা হোক।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআসলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ইতিমধ্যেই নবগঠিত মমতা সরকার লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া সরকারি এবং বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ মানুষ যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শহরে বাসে যাত্রী হচ্ছে না। তার ওপর প্রতিনিয়ত জ্বালানির দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে এত সমস্যা কাটিয়ে বাস মালিক সংগঠনগুলির পক্ষে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও তারা করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার যে কর ছাড়ের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার মেয়াদ বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছে।
অন্যদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক রুটের বাস অঘোষিতভাবেই ভাড়া অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে বাসে চড়তে হচ্ছে। এমনকি ৫০ শতাংশ যাত্রীর নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই একাধিক রুটে ঠাসাঠাসি ভিড় হচ্ছে। এই অবস্থায় বাসের ভাড়া বৃদ্ধি সমস্যায় ফেলতে পারে।