ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে তথ্যও দিয়েছেন। একটি সভায় তিনি জানিয়েছেন, প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এছাড়াও, ট্র্যাক বিছানোর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পিলার বসানো এবং গার্ডার স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে আহমেদাবাদ থেকে মুম্বাই পর্যন্ত ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডোর তৈরি করা হবে। এই করিডোরের মধ্যে ১২টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। বুলেট ট্রেনের গতিবেগ হবে ৩২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এই গতিবেগে চললে মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র দুই ঘণ্টা।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে দিল্লি থেকে আমৃতসর, হাওড়া থেকে বারাণসী-পাটনা, দিল্লি থেকে আগরা-লখনউ-বারাণসী, দিল্লি থেকে জয়পুর-উদয়পুর-আহমেদাবাদ, মুম্বাই থেকে নাসিক-নাগপুর এবং মুম্বাই থেকে হায়দ্রাবাদ পর্যন্ত করিডোর তৈরি করা হবে। বুলেট ট্রেন প্রকল্পের বাস্তবায়ন ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপ্রথম রুট হবে ৫০৮ কিলোমিটারের
বুলেট ট্রেন প্রথমে চলবে আহমেদাবাদ ও মুম্বাইয়ের মধ্যে। এর দূরত্ব হবে ৫০৮ কিলোমিটার। ২০২৬ সালে বিলিমোরা এবং সুরাতের মধ্যে ট্রেনটির ট্রায়াল শুরু হবে। গুজরাটে এর রুট হবে ৩৫২ কিলোমিটার। গুজরাটের ৯টি জেলা অতিক্রম করবে বুলেট ট্রেন। মহারাষ্ট্রে এর দৈর্ঘ্য হবে ১৫৬ কিলোমিটার যেখান থেকে এটি ৩টি জেলা অতিক্রম করবে। এ ছাড়াও নগর হাভেলির মধ্য দিয়ে যাবে ৪ কিলোমিটার পথ। এই করিডোরে ১২টি স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। বুলেট ট্রেনের গতি হবে ৩২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা এবং এর সর্বাধিক গতি হবে ৩৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। বুলেট ট্রেন দুই ঘণ্টার মধ্যে মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ পৌঁছাবে।