এবারে সরকারি কর্মচারীদের উপার্জিত ছুটি বৃদ্ধি করার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। খুব শীঘ্রই কর্মীদের উপার্জিত ছুটি ২৪০ দিন থেকে ৩০০ দিনে উন্নীত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই পেশ হবে এই বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট। অন্তর্বর্তী বাজেট হলেও এই বাজেটেই কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ছুটি বৃদ্ধি করার ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শ্রম কোডের বিষয়ে বিভিন্ন পরিবর্তন থেকে শুরু করে শ্রমিক ইউনিয়ন শিল্পক্ষেত্রে মধ্যে কাজের সময়, বার্ষিক ছুটি, পেনশন প্রভিডেন্ট ফান্ড বাড়িতে বেতন নেওয়া এবং অবসর গ্রহণের মত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে সরকার। অর্থ মন্ত্রকের বিশেষ বৈঠকে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। পাশাপাশি, এই বৈঠকেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের উপার্জিত ছুটি ৩০০ দিন করার দাবি জানানো হয়। অর্থাৎ এবারে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এবারে নিজেদের অর্জিত ছুটির সীমা ২৪০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ করতে দাবি জানিয়েছেন। শ্রম সংস্কার সম্পর্কিত নতুন আইন ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পাস হয়েছিল। কিন্তু এই আইন নিয়ে এখনো পর্যন্ত বিশেষ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এখন কেন্দ্রীয় সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই আইন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। সরকার যত দ্রুত সম্ভব, এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই বাজেটেও এই সম্পর্কে কিছু বড় ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowশ্রম কোড এর নিয়ম অনুযায়ী মূল বেতন কিন্তু মোট বেতনের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি হওয়া উচিত। এতে বেশিরভাগ কর্মচারীর বেতন কাঠামো পরিবর্তন হবে। বেসিক বেতন বাড়লে একই সাথে পিএফ এবং গ্র্যাচুইটি বেড়ে যাবে। যদি এই দুটো বেড়ে যায়, তাহলে হাতে বেতন কম আসবে। তবে, শেষ পর্যন্ত লাভ হবে সাধারণ মানুষের।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এ ষষ্ঠবারের মতো বাজেট পেশ করতে চলেছেন। মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট পেশ করতে চলেছে নির্মলা সীতারামন। এরপরেই দেশের লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। ফলে স্বভাবতই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ভোট ব্যাংক এবং বিশেষ করে চাকরিজীবীদের পুঁজি করতে বিশেষ ঘোষণা করতে পারে। সরকার বাজেটের শ্রম আইন আনার বিষয়ে ঘোষণা করতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে শ্রম আইনের বাস্তবায়নের পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু রাজ্যগুলির মধ্যে ঐক্যমত্যের অভাবের কারণে এই আইন কার্যকর করতে দেরি হচ্ছে। তবে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, খুব শীঘ্রই এই সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে যেহেতু এটা ভোটের আগের বাজেট, এই ধরে নেওয়া যেতে পারে সরকার তার ভোট ব্যাংকের জন্য বিশেষ কোনো ঘোষণা করতেই পারে।