কলকাতানিউজপলিটিক্সরাজ্য

বিজেপি ভোটে জিতলে নবান্নের পরিবর্তে রাইটার্স বিল্ডিং-এ হবে প্রশাসনিক কাজ

বিজেপির সিদ্ধান্তে তীব্র বিদ্রুপ করেছে ঘাসফুল শিবির

Advertisement
Advertisement

একুশে বাংলা বিধানসভা যত এগিয়ে আসছে ততই জোরকদমে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপি তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বাংলায় এনে প্রচার কাজ নিয়োজিত করেছে। প্রায় প্রতিদিন রাজ্যে অমিত শাহ, নাড্ডা ও যোগীর মত কেন্দ্রীয় স্টার ভোট প্রচারক আসছেন এবং বিজেপির সোনার বাংলা তৈরীর দাবি করছে। এই মুহূর্তে বাঙ্গালীদের আবেগ নিয়ে খেলতে বিজেপির নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে তারা নবান্ন ছেড়ে রাইটার্স বিল্ডিং এ তাদের প্রশাসনিক কাজকর্ম করবে।”

Advertisement
Advertisement

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলার নিয়ন্ত্রক ছিল এই রাইটার্স বিল্ডিং। কিন্তু সিপিএম পরিবর্তন হয়ে যখন তৃণমূল কংগ্রেস বক্ষমতায় এসেছিল তখন তারা রাইটার্স বিল্ডিং সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় ও সেইসাথে তাদের প্রশাসনিক কাজকর্ম করার জন্য নবান্নকে বেছে নেয়। কিন্তু ভোটের আগে ফের বাঙ্গালীদের মন জয় করতে হইতো বিজেপির এটা একটা মাত্র মাস্টারস্ট্রোক।

Advertisement

অবশ্য বিজেপির মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা ও বিদ্রুপ করেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের প্রবীণ নেতা সৌগত রায় বলেছেন, “আগে ওরা ভোটে জিতুক। তার পর এইসব পরিকল্পনা করবে। এদিকে ভোট জিততে পারবে না আবার ওদিকে অলীক স্বপ্ন। ঠিক যেন গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।” অবশ্য তৃণমূলের বিদ্রুপের পাত্তা দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। বরং তারা নির্বাচনের আগে তাদের সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য রাতদিন পরিশ্রম করতে চায়।

Advertisement
Advertisement

বঙ্গ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই সিদ্ধান্তের পিছনে একটি বড় কারণ লুকিয়ে আছে। বাংলার মানুষ ও বাঙ্গালীদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে কলকাতার ইতিহাস রাইটার্স বিল্ডিং। ভোটের আগে তৃণমূল বারংবার বিজেপিকে বহিরাগত তকমা দিয়েছে। এই মুহূর্তে বিজেপির প্রধান লক্ষ্য তাদের বহিরাগত তকমা ঘোচানো ও সেইসাথে বাঙ্গালীদের অত্যন্ত প্রিয় হয়ে ওঠা। আর বাংলার মানুষের কাছের মানুষ হতে বাংলার ঐতিহ্যকে সম্মান করতে হয়। সেই পথেই হেঁটে বিজেপি তাই নির্বাচনের আগে প্রচার করছে যে এবার বিজেপি জিতলে নীলবাড়ি ছেড়ে লালবাড়িতে তাদের প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাবে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button