ভোট যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সামাজিক প্রকল্প ঘিরে প্রতিশ্রুতির হিড়িক। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে টেক্কা দিতে বিজেপি ঘোষণা করল ‘অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার’-এর।
রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সহায়তায় চালু মমতা সরকারের বহু প্রচারিত প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সাধারণ শ্রেণির মহিলারা যেখানে পান মাসে ১০০০, সেখানে তপশিলি জাতির মহিলারা পান ১৫০০ করে। তবে সূত্রের খবর, আগামীদিনে এই ভাতার পরিমাণ বাড়তে পারে। সম্ভাব্য নতুন হারে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা পেতে পারেন ১৫০০ এবং তপশিলি জাতির মহিলারা ১৮০০ টাকা করে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঠিক এই সময়েই বিজেপির পাল্টা ঘোষণা রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন বিশ্লেষকরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমরা চালু করব ‘অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার’, যার মাধ্যমে রাজ্যের মহিলারা পাবেন অর্থনৈতিক সুরক্ষা।”
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বলেন, “এই ভাতা শুধু অর্থ নয়, সম্মানের প্রতীক। তবে কর্মসংস্থানের উদ্যোগও চলবে সমানতালে।” রাজ্যের সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির মধ্যে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, বিধবা ভাতা, সবুজসাথী, ও স্বস্ত্য সাথী ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে ছুঁয়ে গেছে। কিন্তু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে রাজনৈতিকভাবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তা বোঝা যাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের পাল্টা ভাতা ঘোষণাতেই।
পাঠকদের পাঁচটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন:
১. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প কাদের জন্য প্রযোজ্য?
রাজ্যের ২৫-৬০ বছর বয়সী, কর্মহীন মহিলারা এই প্রকল্পের আওতায় আসেন।
২. নতুন হারে ভাতা কবে থেকে কার্যকর হতে পারে?
এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবে ভোটের আগে ঘোষণা আসতে পারে বলে জল্পনা।
৩. ‘অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার’ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য কী?
রাজ্যের মহিলাদের আর্থিকভাবে আরও সুরক্ষিত করা এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি।
৪. এই ভাতা কি কর্মসংস্থানের বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে?
বিরোধীদের মতে, নয়। অর্থসাহায্য দেওয়া হলেও কর্মসংস্থানেও জোর দেওয়া হবে।
৫. ভোটের ফল প্রকল্পগুলির ভবিষ্যতে প্রভাব ফেলবে কি?
অবশ্যই। যেই দল ক্ষমতায় আসবে, সেই অনুযায়ী প্রকল্পগুলির রূপ ও বিস্তার নির্ধারিত হবে।
সমাজকল্যাণ এখন শুধু নীতি নির্ধারণের বিষয় নয়, রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার কেন্দ্রেও উঠে এসেছে। ভাতার অঙ্ক, নাম কিংবা প্রতিশ্রুতি—সবই এখন ভোটব্যাঙ্কের সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। এখন দেখার, ভোটের ময়দানে কে জয়ী হয় আর সাধারণ মানুষ কতটা উপকৃত হন এই প্রতিশ্রুতি যুদ্ধে।