আগামী ২৭ জুন শেষ হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত সময়সীমা। এই সময়ের মধ্যেই রাজ্য সরকারকে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বকেয়া ২৫% মহার্ঘ ভাতা ও মহার্ঘ ত্রাণ পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু সময় যখন হাতে গোনা কয়েক দিন, তখনও পর্যন্ত ডিএ সংক্রান্ত কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি।
কী বলছে সুপ্রিম কোর্টের রায়?
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্য সরকারকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে। সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করার শেষ দিন ছিল ১৬ জুন। কিন্তু সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও নবান্ন থেকে এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowসরকারি কর্মীদের অপেক্ষা
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মচারী কার্যত ধোঁয়াশার মধ্যে। কর্মীদের আশা, শেষ মুহূর্তে হলেও সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনেই রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেবে। তাঁদের প্রশ্ন, “আমরা কি আমাদের পাওনা পাব? নাকি আবারও আইনি জটিলতায় আটকে যাবে সব?”
বিজেপির বিস্ফোরক দাবি
এই বিতর্কের মাঝেই বিজেপির মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “নবান্ন এই ডিএ দেবে না। বরং সুপ্রিম কোর্টেই ফের আপিল করতে চলেছে তারা।” তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার দুটি অজুহাত সামনে রেখে এই অর্থ দেওয়ার বিষয়টি পাশ কাটাতে চাইছে।
রাজ্যের অজুহাত কী কী?
১. আর্থিক সংকট:
বিজেপি নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, রাজ্য আদালতে বলবে তারা এই মুহূর্তে বকেয়া ডিএ মেটানোর মতো আর্থিক সঙ্গতির মধ্যে নেই।
২. হিসেবের অভাব:
দ্বিতীয়ত, ২০০৯ সাল থেকে সরকারি কর্মীদের ডিএ বকেয়া রয়েছে। ২০১৫ সালে বেতন সংক্রান্ত হিসাব অনলাইনে স্থানান্তরিত হয়। ফলে, কার কত ডিএ বকেয়া রয়েছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য নেই সরকারের কাছে। প্রতিটি কর্মীর সার্ভিস বুক খতিয়ে না দেখা পর্যন্ত নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলেই রাজ্য দাবি করতে পারে।
নবান্নের নীরবতা
এই গুরুতর অভিযোগের পরেও নবান্নের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রাজ্যের আগের বক্তব্য ছিল, “আদালতের নির্দেশ মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তবে শেষ মুহূর্তে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. কবে শেষ হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত সময়সীমা?
২৭ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে বকেয়া ২৫% ডিএ পরিশোধ করতে হবে।
২. এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কি?
না, ডিএ সংক্রান্ত কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি।
৩. রাজ্য সরকার কী কারণে ডিএ না দেওয়ার কথা বলতে পারে?
আর্থিক অক্ষমতা এবং ডেটা ঘাটতির কারণ দেখাতে পারে।
৪. বিজেপির অভিযোগ কী?
বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ডিএ দেবে না এবং আদালতের দ্বারস্থ হবে।
৫. সরকারি কর্মীদের এখন কী অবস্থান?
তাঁরা ২৭ জুনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকর হবে কি না তা দেখার অপেক্ষায়।