অফবিট

বড়দিন সামনেই, বাড়িতেই বানিয়ে নিন সুস্বাদু কেক, জেনে নিন রেসিপি 

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জী : কালকেই বড়দিন, আর এই সময় আনন্দে  মেতে উঠি আমরা প্রত্যেকে। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ।  জন্মদিন হোক বা বড় দিন কেক একটা খুবই উপাদেয় খাবার আমাদের কাছে। তবেই কেক বানানোর পদ্ধতির কি প্রথম উৎপত্তি হয়েছিল আমাদের দেশে? নাকি  এসেছে বিদেশ থেকে। জেনে নিন এর ছোট্ট ইতিহাস। 

Advertisement
Advertisement

প্রাচীন গ্রিকরা কেক নামের সাথে পরিচিত ছিল। তবে রোমান আমলে এই কেকের নাম হয়ে যায় প্লাসেন্টা, এটি গ্রিক শব্দ থেকে উদ্ভূত। প্রাচীন রোমে মৌলিক রুটির ময়দা কখনো কখনো মাখন ডিম ও মধু দিয়ে সমৃদ্ধ করা হতো।তবে ইংল্যান্ডের প্রাথমিকভাবে  এগুলো মূলত হয়ে উঠেছিল কেক এবং ব্রেড। এর মধ্যে সর্বাধিক স্পষ্ট পার্থক্য ছিল, কেকের গোলাকার সমতল আকার এবং রান্নার পদ্ধতি যা রান্না করার সময় একেবারে কেক পরিণত হয়েছিল। মহামন্দার সময় গুড়ের উদ্বৃত্ত ছিল, এবং যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য লক্ষ্য অর্থনৈতিকভাবে হতাশাগ্রস্ত মানুষকে সহজেই তৈরি খাবার সরবরাহ করার প্রয়োজন ছিল। একটি সংস্থায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য একটি মিশ্রণ করেছিল এবং এর মধ্যে একটি বাক্সে কেক এর প্রথম সারি স্থাপন করা হয়, এটি করার মাধ্যমে জানা যায়, এটি  বাড়ি তে তৈরি একটি উৎপাদিত খাদ্য হয়ে উঠেছিল।

Advertisement

তবে যুদ্ধের পরবর্তীকালে আমেরিকান সংস্থাগুলি সুবিধার নীতিতে বিশেষত গৃহিণীদের ক্ষেত্রে বিপণন কেকের মিশ্রণটি এই ধারণাটি আরও বিকশিত হয়। যখন যুদ্ধকালীন থেকে অবসরপ্রাপ্ত মহিলারা গৃহএ সীমাবদ্ধ ছিল, তাদের কাছে কেক তৈরি খুবই সহজ মনে হল। তাই গৃহবধূরা এবং বাড়ির অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতকারকরা তাদের সৃজনশীল শক্তিদিয়ে কেক সাজানোর জন্য ব্যয় করতে পেরেছিলেন।  এইতো গেল কেকের ছোট্ট ইতিহাস, এবার দেখে নিন আপনি বাড়িতে কিভাবে কেক বানাতে পারেন তার কিছু প্রণালী।

Advertisement
Advertisement

আরও পড়ুন : গ্রাহকদের জন্য ‘২০২০ হ্যাপি নিউ ইয়ার অফার’ নিয়ে এল জিও

উপকরণ : ময়দা, চিনি, দুধ, ভ্যানিলা এসেন্স, ডিম,  বেকিং পাউডার, মাখন বা সাদা তেল 

তৈরির পদ্ধতি : ময়দা, চিনি, দুধ খুব ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে, তার মধ্যে দিতে হবে ভ্যানিলা এসেন্স এবং ডিম। সাথে অল্প একটু বেকিং পাউডার এবং গরম করা মাখন বা সাদা তেল। এই মিশ্রণটি কে খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে যাতে মিশ্রণের মধ্যে কোন শক্ত কিছু না থাকে।  এরপরে যদি মাইক্রোওয়েভ থাকে তো মাইক্রোওয়েভে কিংবা কেক ওভেন থাকলে, কেক ওভেনে দিতে পারেন বা এই দুটোর মধ্যে যদি কোনটাই না থাকে তাহলে আমাদের বাড়িতে প্রেসার কুকার এর মধ্যে আপনি সুন্দর করে কেক বানাতে পারেন। প্রেসার কুকার এর মধ্যে একটা উঁচু কোন রাখার জায়গা রাখতে হবে, তারপরে প্রেসার কুকারের তলাতে বালি অথবা নুন দিয়ে ভরাট করতে হবে তারপর একটা অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে খানিকটা তেল মাখিয়ে এবং তার চারদিকে তেলের ওপরে ময়দা ছড়িয়ে এই মিশ্রণটি ঢেলে দিতে হবে।  প্রেসার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে দেওয়ার পরে অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পরেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার কেক।

এখন শীতের সময় তাই, এই কেক কে আপনি নানাভাবে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর বানাতে পারেন। এই মিশ্রণের মধ্যে খানিকটা গাজর যদি করে দেন তাহলেই হয়ে যাবে ক্যারোট কেক।

মিশ্রণের মধ্যে অল্প পরিমাণ কোকো পাউডার দিলেই হয়ে যাবে চকলেট কেক। ময়দার সঙ্গে সামান্য ও গুঁড়ো করে দিলেই হয়ে যাবে ওটস কেক। এমন করেই নানাভাবে আপনি কেক তৈরি করতে পারেন এবং বাচ্চাদেরকে সেগুলো খাওয়াতে পারেন, তাই আর সাত-পাচ না ভেবে শুরু করে দিন কেক বানাতে। বড়দিন হোক বা জন্মদিনের পার্টি আপনি এখন বাড়িতেই নিজের মতন করে কেক বানিয়ে নিতে পারবেন। 

Advertisement

Related Articles

Back to top button