Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

“মেয়েরা অন্যের ধন হয়”, ফেসবুক পোস্ট করে চরম বিতর্কে বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়

বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক জনসভা করছেন সমস্ত দলের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা। তারা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ও প্রচার করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার ঠিক কিছুদিন…

Avatar

বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক জনসভা করছেন সমস্ত দলের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা। তারা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ও প্রচার করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার ঠিক কিছুদিন আগে ঘাসফুল শিবির বিজেপিকে পরাস্ত করতে নতুন স্লোগান দেওয়া শুরু করেছে। তা হল, “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”। তারা এই শ্লোগানের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছে বিজেপির বহিরাগতরা এসে কখনোই বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাস্ত করতে পারবে না। এখন তৃণমূল এই শ্লোগানকে হাতিয়ার করে নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। তবে এই শ্লোগানের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় তথা বাংলার বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়।

আসলে ঘাসফুল শিবিরের স্লোগান এর পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবিতে তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবির পাশে হিন্দিতে লেখেন, “আমি বাংলার মেয়ে।” আর তা ঠিক নিচে আরেকটি অমিত শাহ এর ছবি দেন। সেই ছবির পাশে তিনি লিখেন, “মেয়েরা পরের ধন। এবার বিদায় করে দেওয়া হবে।” এই ছবিটি বাবুল সুপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার সাথে সাথেই চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেকেই বিজেপি সাংসদ এর মহিলাদের প্রতি এমন মনোভাবের তীব্র নিন্দা করে। এমনকি দলের নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে। শেষ পর্যন্ত বিতর্কে জড়িয়ে গিয়ে বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় তার ফেসবুক পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হয়।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

নেটিজেনদের অনেকেই বাবুল সুপ্রিয়র পোস্টের তীব্র সমালোচনা করে লিখেছেন, “আপনার নারীবিদ্বেষী সত্য প্রকাশ করে ফেলেছেন। এই কারণেই আপনি হয়তো বিজেপি নেতা। আচ্ছা আপনার কি যাদবপুরে মারের কথা মনে পড়ে?” অন্যদিকে আবার নেটিজেনদের একাংশের মন্তব্য, “নারীবিদ্বেষী মনোভাব আসলে উত্তর ভারতের। এটা বাংলার সংস্কৃতি না। বাংলার সংস্কৃতি অনেক এগিয়ে গেলেও তাদের সংস্কৃতিতে এখনো পিতৃতান্ত্রিক যুগ পড়ে রয়েছে। এবার বুঝতে পারছেন বিজেপিদের কেন বহিরাগত বলা হয়।”

About Author