সোমবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো বাংলাদেশের প্রতিভাবান অভিনেত্রী আশা চৌধুরী (Asha Chowdhury)-র। রাতে শুটিং থেকে মোটরবাইকে করে ফিরছিলেন আশা। ঢাকার টেকনিক্যাল মোড়ে আশার মোটরবাইককে একটি ট্রাক ধাক্কা মারে। ট্রাকের ধাক্কায় আশা মোটরবাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন এবং তাঁর মাথা থেঁতলে যায়। এরপর তাঁকে স্থানীয় শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানকার চিকিৎসকরা আশাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশার বন্ধু প্রযোজক রোমান রুনী( Roman Runi)আশার মৃত্যুসংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান। আশার মর্মান্তিক মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তাঁর বাবা। ও আশার সমগ্র পরিবার।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowশৈশব থেকেই আশার স্বপ্ন ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা (Subarna Mustafa)ছিলেন আশার অনুপ্রেরণা। বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করার পর 4 বছর আগে শিহাব শাহীন(Shihab shaheen)-র ‘একদিন সোফিয়া’ টেলিফিল্ম-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় শুরু করেন আশা। রোমান রুনীর ‘দ্য রিভেঞ্জ’ ও ‘এক ফালি রোদ’, জয় সরকার(Joy sarkar)-র ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’, কামরুজ্জামান (kamrujjaman)-এর ‘পুতুলের স্বপ্নে বিভোর বাবা’ সহ একাধিক টেলিফিল্মে অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন আশা। বিটিভি-র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন আশা চৌধুরী। সম্প্রতি আশা ফিল্মে অভিনয় করাও শুরু করেছিলেন। ‘বাবা-মেয়ে’ ফিল্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ করেছিলেন আশা। আশা চৌধুরী অভিনীত একাধিক টেলিফিল্ম এখনও মুক্তির অপেক্ষায়।
অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও মনোযোগী ছিলেন আশা। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়ছিলেন তিনি। আশার মৃত্যুতে শিল্পীমহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।