Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

পেশা নয় নেশাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন দিল্লির আরুশি

শ্রেয়া চ্যাটার্জি - মনের জোর থাকলে কত কিছুই না করা সম্ভব। অনেকেই মনে করেন নারীরা অনেক কিছুই পারে না, আবার অল্প বয়স হলে তো কথাই নেই, কিন্তু দিল্লির আরুশী প্রমাণ…

Avatar

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – মনের জোর থাকলে কত কিছুই না করা সম্ভব। অনেকেই মনে করেন নারীরা অনেক কিছুই পারে না, আবার অল্প বয়স হলে তো কথাই নেই, কিন্তু দিল্লির আরুশী প্রমাণ করে দিয়েছেন অল্পবয়সেই মনের ইচ্ছা থাকলে মেয়েরা চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়েছেন এই কন্যা। অল্প বয়সেই তিনি শুরু করেছেন নিজস্ব ব্যবসা এবং এই ব্যবসার লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন অ্যামাজন কে। ইকোনমিক্স এ গ্রাজুয়েশন করার পর তিনি তার জীবিকা শুরু করেছেন। ব্যবসা শুরু করতে গেলে তিনি ভেবেই নেন যে তাকে চাকরি ছাড়তে হবে। যেমন ভাবা তেমনই কাজ।

তার কোম্পানির নাম ‘Lavish’, এটি তৈরি হয় ২০১৭ সালে দিল্লির দ্বারকাতে।কোম্পানি এখন বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ২০লক্ষ টাকার বেশি। কোম্পানিতে হাতে তৈরি জিনিস তৈরি হয় যেমন কাপড়, গয়না, ব্যাগ ইত্যাদি। তিনি শুরু করেন ২০১৭ সালে। ব্যবসায় প্রথম টাকা লেগেছিল ৩০,০০০ টাকা, যা তিনি নিজের জমানো টাকা থেকে দেন। প্রথম দিকে তিনি শুধুমাত্রই এথনিক জিনিসপত্র বিক্রি করতেন, তারপর আস্তে আস্তে ব্যাগ, গয়নাগাটি আরো অন্য কিছু বিক্রি করা শুরু করলেন। এই জিনিসপত্রগুলি বানানোর জন্য কাঁচামাল মূলত মিরাট, আগ্রা এবং উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য জায়গা থেকে আসে। তার এই কাজ করার জন্য অন্তত ৩০ জন কর্মী রয়েছেন, যারা প্রতিদিন হিসাবে কাজ করেন। তিনি যখন তার এই ব্যবসা শুরু করেন তিনি তখন মাত্র ২৩ বছর বয়সী, তার কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল কেউই তার এই উদ্যোগকে গুরুত্ব দেয়নি। তাছাড়াও বাজারে প্রতিযোগিতাও ছিল। তাই জন্য সারাক্ষণ থাকে পরিশ্রম করতে হতো। পরিশ্রম করাতে একটু খামতি দিলে অন্য কেউ সেই জায়গা দখল করে নিতে পারে এমন ভয় ছিল বেশি।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

এই জিনিসগুলো বিক্রি করার মাধ্যম হিসাবে তারা সোশ্যাল মিডিয়া কে বেছে নিয়েছেন। যেমন ইন্ডিয়ামার্ট, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি। তবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তারা এই ব্যবসা থেকে বাড়িয়ে নিয়ে গেছেন। এখানে আরুশি মনে করেছেন, “ভারতের মাটি থেকে ও বিদেশের মাটিতে এই হাতের তৈরি জিনিসের চাহিদা অনেক বেশি।” একজন মেয়ে হয়ে আরুশি বলেছেন, “বর্তমানে ভারতের অনেক মহিলারাই নিজে থেকেই ব্যবসা শুরু করেছেন। অনেক সরকারি এমন প্রতিষ্ঠান আছে যারা মেয়েদেরকে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছেন। অনেক ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের জিনিস বিক্রির অনেক সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে।” ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আরুশিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আপাতত সবকিছুই করোনা ভাইরাস এর জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে। লকডাউন উঠে গেলে আমি আবার ব্যবসার কাজে মনোনিবেশ করব এবং অনলাইনে এবং অফলাইনে কি করে আমারই সংস্থাকে আরও বাড়ানো যায় তার পরিকল্পনা করব।”

About Author