জীবনযাপনস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

আপনি কি বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন? অবশ্যই জেনে রাখুন এই তথ্য গুলি

Advertisement
Advertisement

ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সায়ন্তিকা দাস : স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আরও গভীর হয় যখন তাদের একটি সন্তান হয়। প্রাকৃতিকভাবেই নারীদের যতই বয়স বাড়ে সন্তান ধারণের ক্ষমতা তাদের ততই কমে আসে। শুধু বয়সই নয় আরো কিছু বিষয় রয়েছে যা সন্তানধারণে বাধা সৃষ্টি করে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

Advertisement
Advertisement

১) অতিরিক্ত ওজন:

Advertisement

অতিরিক্ত ওজনের কারণে নারীদের শরীরে হরমোনের মাত্রা কমে যায়। এ কারণে নারীদের সন্তান ধারনে বাধা সৃষ্টি হয়। ২০০৯ সালের গবেষণা অনুযায়ী যেসব নারীদের বয়সের তুলনায় ওজন বেশি তাদের জরায়ুতে নানা সমস্যা হয়। এবং তাদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে যায়।

Advertisement
Advertisement

২) রুগ্ন শরীর:

অতিরিক্ত ওজন যেমন সন্তান ধারণের জন্য ক্ষতিকর তেমন কম ওজনও ক্ষতিকর। এই কারণে নিজের উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করুন এবং ওজন ঠিক রাখুন।

৩) বয়স বেশি হওয়া:

সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বয়স বেশি হয়ে গেলে সন্তান ধারনের ক্ষমতা কমে যায়। তাই ডাক্তারের মতে ৩৫ বছরের আগে সন্তান নেওয়া উচিত। এছাড়া বংশগত কারণেও বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে।

৪) মানসিক চাপ:

মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। কারণ চাপ শরীরের নানা হরমোনের পরিবর্তন ঘটায়। এই কারণে সন্তান ধারণ করতে চাইলে নিজের চাপ কে নিয়ন্ত্রন করুন।

৫) মদ্যপান:

চিকিৎসকদের মতে আপনি যদি সন্তান ধারণ করতে চান তাহলে অবশ্যই মদ্যপান করা বন্ধ করুন। কারণ অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরে সন্তান ধারণ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

৬) বেশি ব্যায়াম:

ব্যায়াম করা শরীরের পক্ষে ভালো হলেও অতিরিক্ত ব্যায়াম করা ভালো নয়।

৭) থাইরয়েড সমস্যা:

থাইরয়েড জনিত সমস্যা সন্তান ধারনে বাধা সৃষ্টি করে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে অনেক হরমোন নিঃসৃত হয়, কিন্তু এই থাইরয়েড গ্রন্থিতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সন্তান ধারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়।

৮) ক্যাফেইন:

দিনে ৫ কাপের বেশি কফি পান করলে হতে পারে সন্তান ধারনে সমস্যা। তাই বন্ধ্যাত্ব দূর করার জন্য কফি পান কম করুন।

৯) যৌন সমস্যা:

যৌন সমস্যা যেমন সিফিলিস,গনোরিয়া ও প্রদাহ ইত্যাদি কারণেও সন্তান ধারণ ক্ষমতা কমে যায়।

১০) স্বাস্থ্যগত সমস্যা:

স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন পলিসাইটিক ওভারি সিনড্রোম, সিস্ট, এনডোমিটট্রিওসিস এর কারণে নারীর বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। তাই এসব সমস্যা হলে প্রথম থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button