জীবনযাপনসৌন্দর্যস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

Skin Care Tips: মুখের বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে মেনে চলুন এই ৫ জিনিস, বার্ধক্য হবে দূর

Advertisement
Advertisement

আমরা দেখে থাকি যে মানুষ তাদের ত্বককের সৌন্দর্য ও তারুণ্য ধরে রাখতে নানা রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে, কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে মুখে বলিরেখা এবং মাথায় দেখা যায় এমন দাগ যা তাদের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে। সরাসরি বাজে খাদ্যাভ্যাস ও ভুল জীবনযাপনই এসবের কারণ। এবং অসময়ে বা বয়সের আগেই মুখে দেখা দিতে শুরু করে বলি রেখা, অজস্র দাগ ইত্যাদি। এমন পরিস্থিতিতে কিছু খাবারের সাহায্যে আপনি পেতে পারেন দাগহীন এবং উজ্জ্বল মুখ।

Advertisement
Advertisement

ত্বককে সুন্দর ও দাগহীন রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্যাট, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন। এই সমস্ত পুষ্টি ত্বকের টোন উজ্জ্বল করতে এবং সূক্ষ্ম রেখা দূর করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ত্বকের অনেক সমস্যাও দূর করে থাকে। এর জন্য, খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ পুষ্টি যুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ , যা ত্বককে বলি মুক্ত এবং সুন্দর বানায়। পুষ্টিগুণে ভরপুর যে সব খাবার খেতে হবে আসুন জেনে নেওয়া যাক ।

Advertisement

১) ত্বকের জন্য পেঁপের উপকারিতা :
পেঁপেতে ভিটামিন এ, সি, কে এবং ই পাওয়া যায়, পাশাপাশি এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের প্রভাব কমায় এবং ত্বককে তরুণ রাখতে সাহায্য করে। পেঁপে নিয়মিত সেবনে করলে মুখের ব্রণ দূর হয় এবং মিহি রেখাও দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটিতে অ্যান্টি-এজিং এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

Advertisement
Advertisement

২)পালং শাক খাওয়া ত্বকের জন্য উপকারী :
পালং শাকে ভিটামিন কে, সি, ই, এ, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। শাক-পাতা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা ত্বককে নিখুঁত বানায়। এর পাশাপাশি পালং শাকে পাওয়া অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বকের রাশেস ও ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরে ভালোভাবে অক্সিজেন প্রবাহেও সাহায্য করে। আপনি এর সবজি বা অন্যান্য ডিশ বানিয়ে খেতে পারেন।

৩) ডালিম সেবন ত্বকের জন্য উপকারী :
ডালিম হল ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ফল, যার সাহায্যে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করা যায় এবং মুখের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে থাকে এই ফল। এতে পাওয়া পুনিকেলাগিনস নামক একটি যৌগ ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি দিয়ে, বার্ধক্যের লক্ষণগুলি হ্রাস করা সম্ভব, প্রতিদিন সকালে জলখাবারে ডালিম বা ডালিমের রস খাওয়া উপকারী।

৪) অ্যাভোকাডো ত্বকের জন্য উপকারী :
ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি মুখের মৃত চামড়া কে সরিয়ে নতুন, কোমল ও পরিষ্কার চামড়া তৈরি করতে সাহায্য করে। আসলে, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে, যা মুখের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তোলে। এর ফেস মাস্কও ব্যবহার করা যায়।

৫) বাদাম ত্বকের জন্য উপকারী :
যে কোনো বাদাম, বিশেষ করে মুম্ফলি, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা ত্বকের কোষ এবং টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে আর্দ্রতা এবং UV রশ্মি থেকেও রক্ষা করে থাকে। আখরোটে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মুখের ফোলাভাব ও জ্বালা কমাতে সাহায্য করার সাথে হার্টকেও সুস্থ রাখতে উপকারী। তাই খাদ্যতালিকায় বাদাম, কিশমিশ এবং আখরোট অন্তর্ভুক্ত করা খুবই জরুরি।

Advertisement

Related Articles

Back to top button