অফবিট

মানবিকতার নজির, এক শিয়ালকে বাঁচাতে কুয়োতে ঝাঁপ বালকের

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – ‘মানুষ’ কথাটি তৈরি হয়েছে ‘মান’ আর ‘হুঁশ’ এই দুটি শব্দ দিয়ে অর্থাৎ যার ‘মান’ আছে এবং যার ‘হুঁশ’ আছে, এই দুই মিলে মানুষ হয়। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একটি বালক প্রায় তিন, চার তলার সমান একটি কুয়োর মধ্য থেকে একটি শিয়ালকে তুলে নিয়ে আসছে। শিয়াল স্বভাবতই খুব ভয়ঙ্কর প্রাণী। কিন্তু কুয়োতে পড়ে গিয়ে সেও পড়েছে মহাবিপাকে। তাকে উদ্ধার করতে নেমেছে ন বছরের এক ইয়েমেন বালক। তা দেখে মনে হয় শেয়ালটির ধরে প্রাণ এসেছে।

Advertisement
Advertisement

কিন্তু বালকটি কোনরকম দড়ি বা অন্য কিছুর সাহায্য ছাড়াই দিব্যি তরতর করে কতটা নেমে গিয়ে শেয়াল টাকে তুলে আনছে। শিয়ালটির প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা ছাড়া এমন কাজটি করা বোধহয় সম্ভব নয়। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি বন্যপ্রাণীকে কে বাঁচাবে? সত্যি ছেলেটির এমন সাহসিকতা, তবে সাহসিকতা বললে ভুল হয়, দুঃসাহসিকতার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। শেয়ালটি তার পোষা কিনা তা হয়তো কারো জানা নেই, পোষা হোক বা না হোক ছেলেটি মানবিকতার যে পরিচয় দিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

Advertisement

বর্তমানে মানুষের মধ্যে থেকেই মানবিকতাটাই কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে। গোটা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস এর দাপটে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে এই করোনা ভাইরাস এর জন্য পথের কুকুর, বিড়াল কেও অনেকে নিজেরাতো খেতে দিচ্ছেওনা অন্যদিকে অন্য কেউ খেতে দিলেও তারা আপত্তি জানাচ্ছেন। এছাড়াও অনেকেই পথের কুকুরের উপরে পেট্রোল ঢেলে দিচ্ছেন কিংবা তাদের বিষ খাইয়ে মেরে ফেলছেন, এমন অনেক অমানবিক ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মানবিকতার শিক্ষা এই ছোট্ট শিশুই চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button