অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের হাত ধরেই বদলে যাচ্ছে সমস্ত স্টেশনের রূপ। এই প্রকল্পের হাত ধরেই মোট ১২৫৭’টি স্টেশনের ভোল বদল হতে চলেছে। গোটা দেশজুড়ে একের পর এক উন্নত মানের স্টেশন দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে সাধারণের। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের হাত ধরে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মোট ৫৬’টি স্টেশনের ভোল বদল হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৬’ই আগস্ট দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর-পূর্ব সীমান্তের ৫৬’টি স্টেশনকে পুনরায় বিকাশের ভার্চুয়াল ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন।অসমের মুখ্যমন্ত্রী নারেঙ্গি ও মাননীয় রাজ্যপাল স্টেশনে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের শোভা বাড়িয়েছিলেন। পাশাপাশি নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডিমাপুর ও উদয়পুরের স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন এদিন।উত্তর-পূর্ব সীমান্তের ৫৬’টি স্টেশনের মধ্যে ৩২ টি অসমের, পশ্চিমবঙ্গের ১৬’টি আর ত্রিপুরা ও বিহারের ৩’টি করে ও নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ের ১’টি করে স্টেশন এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।৫৬’টি স্টেশনের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের নাম-
১) ত্রিপুরার উদয়পুর, ধর্মনগর, কুমারঘাট
২) অসমের নারেঙ্গি, জাগীরোড, ডিব্রুগড়, শিবসাগর টাউন
৩) পশ্চিমবঙ্গের নিউ আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি রোড, হাসিমারা
৪) বিহারের কিষানগঞ্জ, ঠাকুরগঞ্জ, বারসোই জং
৫) নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর
৬) মেঘালয়ের মেন্দিপাথারউল্লেখ্য, এই ৫৬’টি স্টেশন পুনরায় বিকাশের জন্য হিসাবমতো ১৯৬০ কোটি টাকা খরচা হবে।উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে। তিনি স্টেশন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়নের জন্যই সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে। পাশাপাশি তিনি আরো জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের হাত ধরে স্টেশনগুলির উন্নয়ন ক্রমাগত বিবেচনা করা হবে।