গত বুধবার রাতে দুদিনের বাংলা সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল বাঁকুড়ায় বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজকর্ম ও এক ঝাঁক বিজেপি নেতা কর্মীদের সাথে মিটিং করে আজ শুক্রবার সকালে তিনি ফিরছেন কলকাতায়। গতকাল তিনি বাঁকুড়ার পুয়াবাগান এলাকায় রাজ্য সড়কের মোড়ে থাকা বিরসা মুন্ডার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। আসলে তিনি এবার বাংলা সফরে এসে ভোটব্যাঙ্ক আদায়ের কৌশলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঘনিষ্ঠ হতে চাইছেন। অবশ্য আজকে সেই মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ তৃণমূল সমর্থকরা। এমনকি তারা মূর্তির শুদ্ধিকরণ এর জন্য মূর্তিটি সকাল সকাল জল দিয়ে ধুয়ে দেয়।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতৃণমূলের এহেন কর্মকাণ্ড বাঁকুড়ার রাজনীতিকে সরগরম করে তুলেছে। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী। তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, বিজেপি ভেবেছিল দিল্লি থেকে নেতা আমদানি করে নিয়ে এসে বাংলা দখল করে নেবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। আমরা বাংলায় রাজত্ব করছি এবং ভবিষ্যতেও রাজত্ব করব। একই সুর পাবনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল সাঁতরার গলাতেও। তিনি এদিন বিরসা মুন্ডার প্রতিকৃতি শুদ্ধিকরণের উদ্দেশ্যে জল দিয়ে ধুয়ে দেন। আদিবাসী বাড়িতে ভাত খাওয়াকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, আদিবাসীদের ঘরে কলাপাতায় ১৬০০ টাকা কেজির পোস্ত বড়া ও আলু পোস্ত দিয়ে ভাত খেয়ে গেলেন বিজেপি নেতা।
উল্লেখ্য আজ সকালেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সহ কলকাতায় চলে এসেছেন। তিনি আজ এক মতুয়া পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন করবেন বলে জানা গিয়েছে। বিরোধীরা শাহের এই অনগ্রসর সম্প্রদায়ের প্রতি প্রীতিকে ভালো চোখে নেয়নি। সবাই বলছে এসব সবই আসন্ন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বাংলায় জায়গা করে নেওয়ার প্রয়াস। গেরুয়া শিবিরের এই কাজকর্মকে জাতপাতের রাজনীতি বলে অভিহিত করেছে বিরোধীরা। অবশ্য শাহ এসব বিতর্কে কান দিতে নারাজ। তিনি নিজের বাংলা সফর করে আজ রাতেই দিল্লি উড়ে যাবেন।