ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

Post Office Scheme: পোস্ট অফিসের আশ্চর্যজনক স্কিম, প্রতি মাসে ১০০ টাকা বিনিয়োগেই মিলবে ৮ লাখ টাকা

Advertisement
Advertisement

চলতি বছরে কেন্দ্রীয় সরকার সুদের পরিমাণ বাড়িয়েছে পোস্ট অফিসে। অতএব, এই মুহূর্তে যদি কোন পোস্ট অফিসের গ্রাহক অল্প বিনিয়োগে বেশি সুদের হারে টাকা রিটার্ন পেতে চান! তবে এই নিবন্ধ তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্য পোস্ট অফিস দ্বারা পরিচালিত হয় একাধিক ছোট ছোট প্রকল্প। আর এই মুহূর্তে যে স্কিমটির কথা উল্লেখ করা হচ্ছে সেটি হল পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট স্কিম।

Advertisement
Advertisement

পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট স্কিম:

Advertisement

এই প্রকল্প ১০০ টাকা বিনিয়োগ করেই শুরু করতে পারবেন গ্রাহকরা। এতে বিনিয়োগকারী গ্রাহকের সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮। এক্ষেত্রে ১৮ কিংবা তার ঊর্ধ্ব যে কেউ এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করেই নিজেদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে পারবেন। এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধাও পাবেন গ্রাহকরা। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পোস্ট অফিসের প্রকল্পের সুদের হার ৬.২-৬.৫ শতাংশ করেছে। পাশাপাশি পোস্ট অফিসের আরডি স্কিমের সুদ ৩০ বিপিএস করা হয়েছে। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ যে গ্রাহকদের পক্ষে লাভজনক হতে চলেছে সেকথা আর আলাদাভাবে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।

Advertisement
Advertisement

পোস্ট অফিসের প্রকল্পের সুদের হার কেন্দ্রীয় সরকার তিন মাসের ভিত্তিতেই নির্ধারণ করে থাকেন। পোস্ট অফিসে গ্রাহকরা নিজেদের সামর্থ্য ও সুবিধামতো বিনিয়োগ করতে পারেন। কেউ একবছরের জন্য, আবার কেউ দু’বছরের জন্য, কেউ আবার তার থেকে বেশি সময়কালের জন্য টাকা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী থাকেন উচ্চ সুদের আশায়।

পোস্ট অফিসে অর্থ বিনিয়োগ গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ হিসাবেই ধরা হয়। আর এক্ষেত্রে যদি ১০ বছরের প্রকল্পে বিনিয়োগ করা যায়, তবে প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ের শেষে এক বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসে গ্রাহকদের। আর এই ১০ বছরের প্রকল্পে যদি প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করা যায়, তবে প্রকল্প শেষে গ্রাহকদের হাতে আসবে ৮ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, আরডি স্কিমে ১ বছর বিনিয়োগের পর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া যায়। তবে এটি তখনই সম্ভব, যখন ব্যাঙ্ক ৫০ শতাংশ হারে ঋণের সুবিধা প্রদান করে। যদি কোন ব্যক্তি একবছরের জন্য উল্লেখ্য প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন, তবে সেই ব্যক্তি ওই সময়কালের মধ্যে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে পারেন। এই প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, একবছরে যে পরিমাণ অর্থ ঐ ব্যক্তি সঞ্চয় করবেন তার অর্ধেকই ঋণ হিসাবে পাবেন তিনি।

Advertisement

Related Articles

Back to top button