Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

বন সহায়ক পদে নিয়োগে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ, বর্ধমানের দপ্তরে পড়ল পোস্টার

বন সহায়ক পদে নিয়োগে টাকার লেনদেন হয়েছে। হয়েছে ব্যাপক মাপের দুর্নীতি। এমনই অভিযোগ তুলে বর্ধমানের বিভাগীয় বনাধিকারিকের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। বর্ধমান শহরের গোলাপবাগ এলাকায় বন দফতরের কার্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচিলের…

Avatar

বন সহায়ক পদে নিয়োগে টাকার লেনদেন হয়েছে। হয়েছে ব্যাপক মাপের দুর্নীতি। এমনই অভিযোগ তুলে বর্ধমানের বিভাগীয় বনাধিকারিকের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। বর্ধমান শহরের গোলাপবাগ এলাকায় বন দফতরের কার্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচিলের সাথে বিভিন্ন জায়গায় শুক্রবার তথা আজ বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির পোস্টার ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। পরে বনকর্মীদের একাংশ সেই সব পোস্টার ছিঁড়ে দেন। বনকর্মীদের একাংশ সেই পোস্টার মুছে দেন। যদিও বিহাগীয় বনাধিকারিক দেবশিস শর্মার দাবি, নিয়োগ কোনও দুর্নীতি হয়নি। চক্রান্ত রয়েছে পোস্টার দেওয়ার পিছনে। এর মধ্যেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। কর্মীদের কেউ এর পিছন থাকতে পারে বলে বনকর্তাদের অনুমান।

এদিন যে সব পোস্টার দেখা গিয়েছে তার কোনওটিতে লেখা হয়েছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে। কর্মচারীবৃন্দের নামে দেওয়া এই সব পোস্টারের কোথাও আবার লেখা রয়েছে, বনবিভাগের আধিকারিক ডিএফও দেবাশিস শর্মা বন সহায়ক নিয়োগে কন্ট্রাক্টর বিপ্লব চৌধুরী ও সঞ্জয় দত্তর মাধ্যমে টাকা নিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে ফরেস্ট গার্ড গণেশ দত্তর ভাইয়ের নামও উল্লেখ করা হয়েছে পোস্টারে। শুধু তাই নয়, বনসহায়কের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয় পোস্টারে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই সেগুলি ছিঁড়ে দেওয়ার কাজ শুরু করে বনকর্মীদের একাংশ।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

বিভাগীয় বনাধিকারিক দেবাশিসবাবুর বক্তব্য,”সম্পূর্ণ মিথ্যা এই অভিযোগ। এর পিছনে রয়েছে বহু চক্রান্ত। অনেক সময় কর্মীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ট্রান্সদার করতে হয়েছে। আবার কখনও বকাবকিও করা হয়েছে কাজ নিয়ে। সেই রাগে কেউ করে থাকতে পারে। কারা এই কাজ করেছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় ফুটেজ খতিয়ে দেখে তার হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশি তদন্তের জন্য বলা হয়েছে।” তিনি এইদিন আরও জানান, এই বিভাগ থেকে নিয়োগ হয়নি। নিয়ম এমেন সার্কেল থেকে নিয়োগ হয়েছে।

ঘটনায় রাজনৈতিক রংও লেগেছে। গেরুয়া শিবিরের নেতা সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এতদিন তারা এই অভিযোগ করেছিলেন। এবার তাতেই সিলমোহর পড়েছে এদিনের পোস্টারে। শাসক শিবিরের পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, এটা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ব্যাপার। দুর্নীতি হয়ে থাকে তদন্ত হোক। এটা তাঁরাও দাবি করছেন। তবে দেখতে হবে কেউ মিথ্যা প্রচার করে বদনাম করতে চাইছে কি না। দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে।

About Author