করোনার জেরে জোর ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন ব্যবসা। গত দুমাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ দার্জিলিংয়ের হোটেল গুলি। লকডাউনের জন্য কোনো পর্যটক যেতে পারেনি পাহাড়ে। এই পরিস্থিতিতে ১লা জুলাই থেকে দার্জিলিংয়ে বন্ধ হচ্ছে সমস্ত হোটেল। এই সিদ্ধান্তের কথা আজ জানিয়েছেন দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। দার্জিলিংয়ে সব মিলিয়ে ৩৫০-৪০০ এর কাছে হোটেল আছে। এই মুহূর্তে হোটেল বন্ধ হওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণে হোটেল কর্মী কাজ হারাবেন আশঙ্কা এমনই।
দার্জিলিংয়ের পর্যটন মরসুম মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাস। কিন্তু করোনায় লকডাউনের জন্য এই ভরা পর্যটনের মরসুমেও দার্জিলিং ছিল পর্যটক শুন্য। এরপর বর্ষায় পর্যটকের সংখ্যা এমনিতেই কমে যাবে পাহাড়ে। আর এই জন্যই ১লা জুলাই থেকে দার্জিলিয়ের সমস্ত হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোটেল মালিক সংগঠন গুলি। বর্তমান পরিস্থিতিতে হোটেল বন্ধ হলে বিভিন্ন হোটেলের ৮,০০০-১০,০০০ কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়বে। হোটেল কর্মীদের অভিযোগ, লকডাউনের সময় কর্মীরা কেমন আছে সেবিষয়ে কোনো খোঁজই নেয়নি মালিকপক্ষ। হোটেল কর্মীদের মার্চে শেষ বেতন দেওয়া হয়েছিল, তারপর আর বেতনও মেলেনি ঠিকভাবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowদার্জিলিংয়ের বিভিন্ন হোটেল কর্মীরা জানাচ্ছেন, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তাদের ৩৫% বেতন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল মালিকরা। জুলাই থেকে ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ এর নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এসবের মাঝেই হঠাৎ সমস্ত হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে তারা। জেলাশাসকের কাছে কর্মী সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়। জিটিএ চেয়ারম্যান অনিত থাপা বৃহস্পতিবার কালিম্পঙে হোটেল মালিকদের সাথে আলোচনা করেন। তিনি জানিয়েছেন, “মালিকরা সমস্যায় আছে ঠিকই, কিন্তু হোটেল বন্ধ করে দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবেনা।” আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আগামী সোমবার মালিকপক্ষের সঙ্গে আরও একটি বৈঠক আছে, সেদিকেই তাকিয়ে এখন সবাই।