Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরা কত ক্ষতিপূরণ পান? কে দেবে? নিয়ম কী, সবকিছু জেনে নিন

বিমান যাত্রা যতই নিরাপদ বলা হোক না কেন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা কিন্তু একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এমন দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে যাত্রী ও তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় ট্র্যাভেল ইনশিওরেন্স এবং আন্তর্জাতিক বিধি…

Avatar

বিমান যাত্রা যতই নিরাপদ বলা হোক না কেন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা কিন্তু একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এমন দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে যাত্রী ও তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় ট্র্যাভেল ইনশিওরেন্স এবং আন্তর্জাতিক বিধি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থাপনা।

সম্প্রতি একটি এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের দুর্ঘটনার পর এই প্রশ্ন উঠে এসেছে—বিমা বা আন্তর্জাতিক নিয়মে আসলে কতটা আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায় এমন ঘটনায়?

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

ট্র্যাভেল ইনশিওরেন্সে কী কী সুবিধা থাকে?

ভারতে অধিকাংশ স্ট্যান্ডার্ড ট্র্যাভেল ইনশিওরেন্স পলিসিতে Scheduled Flight বা নির্ধারিত সময়ে চলা বিমানযাত্রায় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে Personal Accident Cover অন্তর্ভুক্ত থাকে। বিমানে দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ₹১০ থেকে ₹১৫ লক্ষ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, যদি বিমার কভারেজ পরিমাণ ইউএস $১৫০,০০০-র আশেপাশে হয়।

এই ইনশিওরেন্সে আরও কিছু সুবিধাও অন্তর্ভুক্ত থাকে যেমন:

  • দেহ দেশে ফেরত আনার খরচ (Repatriation of Remains)

  • এমারজেন্সি মেডিক্যাল এভাকুয়েশন

  • ব্যাগেজ হারালে ক্ষতিপূরণ

তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সুবিধাগুলি প্রযোজ্য নাও হতে পারে। যেমন:

  • Non-Scheduled বা বিশেষ ফ্লাইট

  • Pre-existing health condition

  • বিমানের ক্রু সদস্য

  • যুদ্ধ বা সন্ত্রাসবাদ-ঘটিত দুর্ঘটনা

আন্তর্জাতিক নিয়মে কী ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়?

Montreal Convention অনুসারে, কোনও বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের ওপর Strict Liability বর্তায়। অর্থাৎ, কোনও দোষ প্রমাণ না হলেও বিমান সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।
এই ক্ষতিপূরণসীমা হল ১২৮,৮২১ SDR বা প্রায় ₹১.৪ কোটি (২০২৫ সালের মধ্যবর্তী রেট অনুসারে)।

তবে যদি বিমান সংস্থার গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে এর থেকে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণও দাবি করা যেতে পারে।

৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

১. সকল বিমানে যাত্রার ক্ষেত্রেই কি ট্র্যাভেল ইনশিওরেন্স প্রযোজ্য?
না, কেবলমাত্র নির্ধারিত কমার্শিয়াল ফ্লাইটের ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ ইনশিওরেন্স কভার কাজ করে।

২. বিমার টাকা কতটা পর্যন্ত পাওয়া যায়?
₹১০-১৫ লক্ষ পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে, বিমার কভারেজ অ্যামাউন্ট অনুযায়ী।

৩. আন্তর্জাতিক ক্ষতিপূরণ পেতে হলে কী করতে হয়?
যদি যাত্রী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে থাকেন এবং দুর্ঘটনা ঘটে, তবে Montreal Convention অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রযোজ্য হয়।

৪. বিমার আওতায় কোন কোন সুবিধা বাদ পড়তে পারে?
সন্ত্রাসবাদ, যুদ্ধ, পুরনো অসুস্থতা বা নন-স্কেডিউল ফ্লাইট এই তালিকায় পড়ে।

৫. বিমান সংস্থার গাফিলতির প্রমাণ পেলে কী বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়?
হ্যাঁ, দোষ প্রমাণ হলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়তে পারে।

বিমান দুর্ঘটনা মানেই অপূরণীয় ক্ষতি। তবে সঠিক ট্র্যাভেল ইনশিওরেন্স ও আন্তর্জাতিক আইন থাকলে আর্থিক দিক থেকে পরিবার কিছুটা হলেও সহায়তা পায়। যাত্রার আগে বিমা করিয়ে নেওয়া এবং নীতিমালাগুলি জানা থাকলে, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তেও সামান্য প্রস্তুতি থাকে।

About Author