বিহার ভোটের পরে এবারে অল ইন্ডিয়া মজলিস এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন AIMIM এর পরবর্তী গন্তব্য পশ্চিমবঙ্গ। বিহারে তাদের ফল মোটামুটি ভালো। বিহারে মোট ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৫ টিতে জয়লাভ করেছে এআইএমআইএম। তাই এবারে সেই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত হয়ে বাংলায় প্রার্থী দিতে চলেছে ওয়াইসির দল। এআইএমআইএম এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি ঘোষণা করেছেন, এবারের বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বেশকিছু আসনে তারা প্রার্থী দেবে।
তাদের লড়ার কৌশল বেশ সোজাসাপ্টা। গত তিন বছর ধরে বাংলায় তারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর দিনাজপুরে তারা সংগঠন তৈরি করেছে বলে খবর। সেখানকার সংখ্যালঘুদের মধ্যে এআইএমআইএম এর জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। শুধু এই তিনটি জেলা নয়, দক্ষিণবঙ্গে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় তাদের সংগঠন তৈরি হয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএআইএমআইএম এর স্পষ্ট বক্তব্য, ” আমরা বিজেপি বিরোধী। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসুক এটা আমরা চাই না। জোটের রাস্তা সম্পূর্ণ খোলা। আমাদের সাথে জোট করার সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিতে হবে। যদি তিনি রাজি থাকেন তাহলে আমরা জোট করতে রাজি। না হলে বিহারের মতো একাই লড়াই করব। কে কত আসনে লড়বে তা আমাদের নেতারা এসে ঠিক করবেন।
বিহারের সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এআইএমআইএম এর বিরুদ্ধে। তার বিপরীতে, এআইএমআইএম এর পাল্টা বক্তব্য,”আমাদের জোটে নেওয়া হয়নি। এতে আমাদের কিছু করার নেই।”
তবে বিহার নির্বাচনে এআইএমআইএম যে কটা সিট জিতেছে সেগুলির ৪টি দিনাজপুর এবং মালদা সীমানায়। তাই মনে করা হচ্ছে, যদি AIMIM বাংলা নির্বাচনে প্রার্থী দেয়, তাহলে অবশ্যই সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে হাত পড়বে। আর যদি তৃণমূলের সাথে জোট না হয়, তাহলে আখেরে লাভ হবে বিজেপির।