Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

শীতের মাঝেও উত্তপ্ত পাহাড়, বিনয়কে পাহাড় ত্যাগের হুমকি গুরুং-এর 

ত্রিবর্ণ পতাকায় সাজানো হয়েছে চারিপাশ। ব্যান্ড পার্টি বাজছে, চলছে গান, সাথে নাচ। গত রবিবার অন্য এক উৎসবের মেজাজে আবারও ফিরতে দেখা গেল দার্জিলিং এর চকবাজারকে। সাড়ে তিন বছর পরে পাহাড়ে…

Avatar

ত্রিবর্ণ পতাকায় সাজানো হয়েছে চারিপাশ। ব্যান্ড পার্টি বাজছে, চলছে গান, সাথে নাচ। গত রবিবার অন্য এক উৎসবের মেজাজে আবারও ফিরতে দেখা গেল দার্জিলিং এর চকবাজারকে। সাড়ে তিন বছর পরে পাহাড়ে ফিরেছেন নেতা বিমল গুরুং। পাহাড়ে এসেই তার শক্তির বেশ দেখতে পেয়েছে সকলে।

কয়েকদিন আগে শিলিগুড়িতে সদলবদলে সভা করেছিলেন গুরুং। এইদিন তিনি পা রাখলেন পাহাড়ে। কার্যত জনস্রোতে ঢেকে গেল গোটা দার্জিলিং অঞ্চল। সর্বত্র গুরুং ভক্তরা একসাথে আবেদন জানান তাদের নেতাকে। এই জনসভায় তিনি হাঁটেন ঘুম থেকে দার্জিলিং চকবাজার পর্যন্ত।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

তার সভাকে ঘিরে জনতার উত্তেজনা ছিল দেখার মতো। গুরুং ভক্ত কর্মী-সমর্থকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। অন্যদিকে এইদিন বিনয় তামাং এবং অনীত থাপাকে পাহাড় ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। এছাড়াও শাসক শিবিরের প্রতি সমর্থন জাহিরও করেছেন বিমল গুরুং। তবে তিনি কি এইবার পাহাড়ে ফিরে পাবেন আগের মতো সমর্থন? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। এইদিনের সভা থেকে অনেকটাই স্পষ্ট যে তার জনপ্রিয়তা এখনও সমান আছে পাহাড়ে।

গুরুংকে হুমকির পালটা জবাব দিয়েছেন বিনয় তামাংও। তিনি বলেন,”অশান্তি করতেই পাহাড়ে এসেছেন গুরুং। রাজ্য সরকারের ভাবা উচিৎ পাহাড়ের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে। পাহাড়ের মানুষ আমার পাশে রয়েছে। আমায় মেরে ফেললেও সরাতে পারবেনা পাহাড় থেকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত তিন বছর গা ঢাকা দিয়ে রেখেছিলেন গুরুং। তার আগে শীতের পাহাড়ে যে উত্তাপের আবহ তৈরি হয়েছে তা অনেকটাই স্পষ্ট। পর্যবেক্ষকদের মতে, নির্বাচনের আগে মোর্চার দুই নেতা গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে পাহাড়ের রাজনৈতিক আলোচনায় ফিরতে চাইছেন। টেকাতে চাইছেন নিজেদের অস্তিত্ব। বেশ কিছুকাল আগেই মোর্চার দুই নেতার বিষয় ক্লোজড হয়ে গিয়েছিল। তাদের নাম শোনা যেত না পাহাড়ের কারও মুখেই। অন্যদিকে পাহাড়ের মানুষের মন জিততে একাধিক বার আলাদা গোর্খাল্যান্ডের কথাও জানিয়েছেন তারা। রোশন গিরি বক্তব্য,”২০২৪ এর নির্বাচনে আমাদের গোর্খা ল্যান্ডের দাবিকে যে দল সমর্থক জানাবেন তাদেরই সমর্থন করব আমরা।” তবে এক কথায় অনেকটাই বজায় রয়েছে গুরুং হাওয়া। তবে তা কতটা আগামী বিধানসভা ভোটে প্রভাব ফেলবে, তাই দেখার বিষয়।

About Author