নিউজরাজ্য

বাংলাকে ‘দেশদ্রোহীর গড়’ বলে আখ্যা দিলীপ ঘোষের, ফের সমালোচনার মুখে বিজেপি সভাপতি

Advertisement
Advertisement

গত শনিবার ও রবিবার প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় আসলে তার বিরোধিতা করে শহরের বিভিন্ন স্থানে ‘গো ব্যাক মোদি’ শ্লোগানে যে মিছিল হয় তাকে কেন্দ্র করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন যারা প্রধানমন্ত্রীকে গো ব্যাক বলছে তাদের তো অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গাদের গো ব্যাক বলার হিম্মত নেই। তিনি রবিবার আরও বলেছেন যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে তাদের গুলি করে মারা উচিত।

Advertisement
Advertisement

এমন মন্তব্য করে তিনি স্বাভাবিক ভাবেই নিন্দার মুখে পড়েন। এরপরই মঙ্গলবার আবার তিনি বাংলাকে দেশদ্রোহীর গড় বলায় তাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার খড়্গপুরে তিনি বলেন যেখানে বন্দেমাতরম, জয় হিন্দ শ্লোগানের পরিবর্তে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা হয় সেখানে দেশদ্রোহীতার হয়ে ওঠে। এই দেশদ্রোহীদের থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে হবে। তবে তার এই ধরনের আক্রমণাত্মক মন্তব্যে দলীয় নেতৃত্ব সমস্যায় পড়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন : ভারতে আসতে পারেন পাক-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

Advertisement
Advertisement

তার এমন মন্তব্যে পর তৃণমূলের তাপস বাবু বলেছেন দিলীপ ঘোষের থেকে বাঙালির দেশপ্রেমের কোন শংসাপত্রের প্রয়োজন নেই। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন বাঙালির লেখা জাতীয় সঙ্গীতে যে উনি উঠে দাঁড়ান সেটা বোধ হয় ভুলে গেছেন। কংগ্রেসের মান্নান মন্তব্য করেন উলুখাগড়ার কথায় কিছু আসে যায় না। তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত বলেছেন দিলীপ ঘোষই সবচেয়ে বড় দেশদ্রোহী।

এই সব মন্তব্যের পর দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অনেক স্থানে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তবে তিনি অবশ্য এইসব অভিযোগকে গুরুত্ব দেননি বরং তিনি বলেছেন তৃণমূলের রাজনীতি দেউলিয়া তাই তারা পুলিশ প্রশাসন কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলের মুখ বন্ধ করতে চায়।

আরও পড়ুন : এ বছর বিপরীত ঘটনা, আবহাওয়া নিয়ে কী জানাল হাওয়া অফিস

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতির ঘোষণা করা হবে সেই পদে দিলীপ ঘোষ থাকবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেউ দাবী করছেন তাকে রাখা হবে, আবার দলের কেউ কেউ বলছেন নতুন মুখ আনা হতে পারে, আবার দলের একাংশের মতে দিলীপ ঘোষ সভাপতি থাকবেন কিন্তু কার্যকরী সভাপতি হিসেবে অন্য কাউকে রাখা হতে পারে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button