পেজ থ্রিয়ের শিরোনামে এখন একটাই খবর মুম্বইয়ের কাছে আরব সাগরে ভাসমান এক প্রমোদ তরী থেকে আটক করা হয় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। গত ২রা অক্টোবত শনিবার গভীর রাতে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হঠাৎ হানা দেন বাণিজ্যনগরীর উপকূলের মাঝে চলা এই ক্রুজ পার্টিতে। আগে থেকেও ওত পেতে বসেছিলেন এনসিবির সংস্থার দুঁদে অফিসাররা। অনেকদিন ধরেই এই মাদক আসরের কথা তাঁদের কানে গিয়েছিল। হাতে নাতে ধরবে বলেই সেখানে ছদ্মবেশে যান। এইদিন ফিল্মি কায়দায় এই বিলাসবহুল ক্রুজ পার্টি থেকে এনসিবির হাতে আটক হয় মোট ১৪ জন তরুণ-তরুণী। সেই তালিকায় সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল নাম শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান। প্রাথমিক জেরার পর উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় অভিযুক্ত ৬ জনকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার হন আরো ৮জন।
আরিয়ানের পাশাপাশি ক্রুজ ড্রাগ কাণ্ডে চর্চায় থেকেছে আরো দুই নাম, তা হল আরিয়ানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা। বলিউডের অন্দরমহলের খুব পরিচিত নাম মুনমুন। মুনমুন যখন এনসিবির থেকে আটক হয়, তখন তাঁর কাছ থেকে ‘চরস’ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু মুনমুন কোথায় এই ড্রাগস লুকিয়ে ছিলেন তা জানলে চোখ কপালে উঠবে অনেকের। নিজের স্যানিটারি প্যাডের ভিতর লুকানো ছিল সেই ড্রাগস পিল।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। মুনমুনের স্যানিটারি প্যাডের ভিতর থেকে ড্রাগস উদ্ধার করতে দেখা গিয়েছে এনসিবির আধিকারিকদের। কেন্দ্রীয় সংস্থার এক অফিসার জানিয়েছেন, শনিবার ক্রুজের ভিতর মুনমুনের যে বুকিং করা রুম ছিল সেইখানে তোলা ভিডিও। তল্লাশির সময় মুনমুনের ট্রলি ব্যাগের ভিতর থেকে পাওয়া স্যানিটারি প্যাডের ভিতর থেকে এনসিবির মহিলা আধিকারিকরা এই ড্রাগস উদ্ধার করেন।
উল্লেখ্য, মুনমুন ধামিচার বাবা মধ্যপ্রদেশের এক নামকরা বড় ব্যবসায়ী। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরেই কাজের জন্য দিল্লিতে থেকেছেন মুনমুন। ড্রাগস মামলার এই অভিযুক্ত যে পুরোদস্তুর ‘পার্টি লাভার’ তা স্পষ্টই বলে দেবে তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল। বলিউডের তাবড় তাবড় সেলিব্রেটি যেমন অর্জুন রামপাল থেকে বরুণ ধাওয়ান সহ একাধিক বলিউড তারকার সঙ্গে পার্টি করতে দেখা গিয়েছে মুনমুনকে। এখন এই মুনমুনের ঠিকানা হল মুম্বাইয়ের আর্থার জেল।