বিনোদনবাংলা সিরিয়াল

Prosenjit-Rachna: ‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চে আবেগপ্রবণ রচনা ব্যানার্জী, চোখ মুছিয়ে দিলেন স্বয়ং বুম্বাদা

Advertisement
Advertisement

‘দিদি নম্বর ১’ জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় গেম রিয়্যালিটি শো। ৮’টি সিজন পেরিয়ে ৯’এ পা দিয়েছে এই শো। প্রতিবারের মতোই এই সিজনেও সঞ্চালনার দায়িত্বে রয়েছেন রচনা ব্যানার্জী। তিনিই এই ‘দিদি নম্বর ১’এর দিদি। তবে বর্তমানে বড়পর্দা থেকে দূরে থাকলেও, তিনি এখন সকলের কাছে তাদের সকলের প্রিয় দিদি। তবে সম্প্রতি সেই মঞ্চেই রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন রচনা ব্যানার্জী। সেই আবেগঘন মুহূর্তে তাকে সামলালেন স্বয়ং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সেই সূত্র ধরেই চর্চায় উঠে এসেছেন তারা।

Advertisement
Advertisement

Advertisement

কয়েকদিন আগেই জি বাংলার অফিশিয়াল পেজ থেকে লাইভে এসে রচনা ব্যানার্জী ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাদের ভক্তদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই তারা একসাথে দেখা দিতে চলেছেন ‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চে। আগামী ১৭’ই জুন অর্থাৎ শুক্রবার টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রচারিত হতে চলেছে সেই এপিসোড। এদিন বাবা-মেয়ের স্পেশাল এপিসোড। এই এপিসোডেই নিজের আসন্ন ছবির প্রচার করতে দেখা যাবে অভিনেতাকে।

Advertisement
Advertisement

সৌভিক কুন্ডু পরিচালিত ‘আয় খুকু আয়’ এক নির্ভেজাল বাবা-মেয়ের সম্পর্কের কথা বলবে। এখানে বাবা-মেয়ের চরিত্রে টলিউডের বুম্বাদা ও পর্দার রাসমণি অর্থাৎ দিতিপ্রিয়া রায়ের দেখা মিলবে। এই ছবির প্রচারেই জি বাংলার বাবা-মেয়ের স্পেশল এপিসোডে উপস্থিত ছিলেন তিনি। আর সেখানেই আবেগপ্রবণ হতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে।

আসলে কথায় কথায় নিজের বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। গতবছর ১৫’ই নভেম্বর প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রীর বাবা। বাবা মারা যাওয়ার পর রীতিমতো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কিছুদিন বিরতি নিয়ে তারপরেই কাজে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী। একটা সময় কাজের ব্যস্ততার জন্য বেশিরভাগ সময়ই কলকাতার বাইরে থাকতেন অভিনেত্রী। সেইসময় নিজের বাবা-মাকে খুব বেশি সময় দিতে পারেননি তিনি। তবে মাঝে বেশ কিছুটা সময় হায়দ্রাবাদে কাজের সূত্র ছিলেন রচনা ব্যানার্জী। তবে তখন মেয়েকে একা রাখা যাবেনা, সেই জন্যই তার বাবা চাকরি ছেড়ে গিয়েছিলেন তার সাথে। বাবা মারা যাওয়ার পর অভিনেত্রীর অনেকসময় মনে হয়েছে তার বাবা-মাকে আরো কিছুটা সময় দিলে হয়তো ভালো হতো। এই কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রতিযোগীদের জানিয়েছেন, তারা যতটা সময় তাদের বাবার সাথে কাটাতে পারছেন, ততটা আশীর্বাদের মতই। ধীরে ধীরে একা হয়ে যাওয়ার কষ্টটা তিনি জানেন, তাই এই কথা সকলের উদ্দেশ্যে বলেছেন তিনি।

বাবাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। কেঁদে ফেলেছিলেন ক্যামেরার সামনেই। সেইসময় মঞ্চে উপস্থিত বুম্বাদা সামলান অভিনেত্রীকে। চোখ মুছিয়ে দেন তার। এরপর অভিনেতা এও জানিয়েছেন, তিনি অভিনেত্রীর বাবাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। এমনকি অভিনেতা এও জানান, লকডাউনের আগেও তিনি তাদের বাড়ি গিয়েছিলেন তখন তারা সকলেই জীবিত ছিলেন। অভিনেত্রী নিজের অভিনয় জীবনে প্রায় ৩৫’টার বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন বুম্বাদার সাথেই। সেই শুরুর সময় থেকেই একে অপরের সাথে পরিচয় তাদের। একটা সময় এই জুটি রীতিমতো পর্দা কাঁপিয়েছে। দীর্ঘদিন পর একই শোতে দেখা মিলল তাদের। আপাতত, সেই এপিসোড দেখার অপেক্ষায় অনুরাগীরা।

Advertisement

Related Articles

Back to top button