দেশনিউজ

বৈজ্ঞানিকদের মতে লকডাউনের জেরে বাতাসে কমছে কার্বন ডাই অক্সাইড

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে আমাদের একটাই উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ভিড় জমায়েত যেখানে হয় সেই স্থান এড়িয়ে চলা। তাই স্কুল-কলেজ, বিদ্যালয়, কল কারখানা সবই বন্ধ। সকালবেলার ঘুমটা আর কল-কারখানার ভোঁ শব্দে ভাঙ্গে না, হাঁড়িতে ভাত চাপিয়ে খেয়ে দেয়ে বেরোনোর তাড়া নেই। কলকারখানা থেকে বেরোচ্ছে না বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। কোন দেশ হিসাবে নয় বিশ্বব্যাপী সমস্ত কলকারখানা কার্যত বন্ধ। তাই দূষণের মাত্রা টা কমেছে অনেকটা।

Advertisement
Advertisement

বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড ও কমেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে দূষণের মাত্রা এমনটা কমে যায়নি কখনো,
তারা জানান এই কয়েক মাসে দূষণের মাত্রা কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। ২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দার পরেও এতোটা কমেনি।করোনাভাইরাস নাহলে গোটা বিশ্বকে এইভাবে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখা কোন মহাশক্তির পক্ষে সম্ভব হতো না। আর আমরা ঘরের মধ্যে বন্দি না থাকলে কলকারখানা স্কুল-কলেজ, যানবাহন আগের মতোই চলত।

Advertisement

পরিবেশ দূষণের মাত্রা আরো বেড়ে যেত। মানুষ শুনত না। সে ক্রমশ উন্নতির শিখরে উঠতে চায়, কিন্তু তার উন্নতি করতে গিয়ে যে আখেরে নিজের ক্ষতি মানুষ করছে তা সে বুঝতে পারে না। তাই করোনা ভাইরাস কে আমরা মনে মনে কিন্তু বাহবা দিতেই পারি। এটি কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু, অনেক মৃত্যু আমরা প্রতিদিন দেখে চলেছি। দিয়েছেও অনেক। একটু হিসাব করলেই বুঝতে পারবেন পৃথিবীর ওজন স্তর সেরে উঠছে, প্রাণীরা নিজের মতন করে ঘুরে বেড়াচ্ছে, দূষণের মাত্রা অনেকটা কমেছে। এগুলো কি আমাদের কাছে কম পাওয়া নয়?

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button