স্ত্রীর জন্য করভা চৌথ পালন করলেন অভিষেক বচ্চন, না খেয়েই সারাদিন কাটালেন অভিনেতা

Advertisement

Advertisement

সম্প্রতি করভা চৌথ পালনের সময় বিনোদন জগতে ভাইরাল হলো বচ্চনদের অন্দরের খবর। প্রতি বছর অমিতাভ বচ্চনের বাংলো ‘জলসা’ য় সাড়ম্বরে করভা চৌথ পালন করা হয়। ইন্ডাস্ট্রির অনেক নামীদামি ব্যক্তিত্ব অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে। ঐশ্বর্য রাই বচ্চন তাঁর স্বামী অভিষেক বচ্চনের জন্য করভা চৌথ পালন করেন, এই কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু যেটা জানেন না, তা হলো অভিষেক বচ্চন প্রতি বছর ঐশ্বর্যর জন্য করভা চৌথ পালন করেন।

Advertisement

করভা চৌথের নিয়ম অনুযায়ী ভোরবেলা সূর্যোদয়ের আগে ‘সারগি’ খেতে হয়। এই ‘সারগি’ দেওয়া হয় শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে। ‘সারগি’তে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফল, মিষ্টি, ড্রাই ফ্রুট, পায়েস। সূর্যোদয়ের পর থেকে চাঁদ দেখে চাঁদের পুজো না করা অবধি নির্জলা উপবাস পালন করা হয়। বিবাহিত মহিলারা স্বামীর মঙ্গল কামনা করেন করভা চৌথ পালনের মধ্যে দিয়ে। অনেকের বিশ্বাস, স্ত্রীরা এই ব্রত পালন করলে স্বামীরা দীর্ঘায়ু হন। কিন্তু এই প্রাচীন ধারণায় চিড় ধরিয়ে এগিয়ে আসছেন ছেলেরাও। অভিষেক বচ্চনের মত অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে স্ত্রীদের দীর্ঘায়ুর জন্য কে ব্রত পালন করবেন? কে করবেন তাঁদের জন্য মঙ্গলকামনা? তাঁদের মতে, নারীরা যদি দীর্ঘায়ু না হন, তাঁদের জীবন যদি মঙ্গলময় না হয়, তাহলে প্রকৃতির নিয়মের অবমাননা ঘটবে। আসলে প্রকৃতির যে নারীস্বরূপা। এই ভাবনা থেকেই অভিনেতা অভিষেক বচ্চন সহ অনেক পুরুষ বর্তমানে নিষ্ঠাভরে করভা চৌথ পালন করেন তাঁদের স্ত্রীদের জন্য। তাঁরাও স্ত্রীদের সঙ্গে সূর্যোদয়ের আগে ‘সারগি’ খাবার পর সারাদিন ধরে নির্জলা উপবাস করেন। এরপর স্ত্রীদের সাথেই চাঁদের পুজো করে উপবাস ভঙ্গ করেন। এই বছরও এর অন্যথা করেননি অভিষেক। তবে অভিষেক বচ্চন অভিনীত ফিল্ম ‘লুডো’ র সহ-অভিনেত্রী ইনায়ত বর্মা বলেন, অভিষেক করভা চৌথের দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারেননি। ফলে তাঁর ‘সারগি’ খাওয়াও হয়নি। এই কারণে সারাদিন তিনি না খেয়েই ছিলেন। এই কথা অভিষেক নিজেই ইনায়তকে জানিয়েছেন।

Advertisement

2007 সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ঐশ্বর্য রাই-এর বিয়ের সময় অনেকেই নাক কুঁচকে বলেছিলেন, এই সম্পর্ক টিকবে না। অনেকবার মিডিয়ায় এসেছে অভিষেক-ঐশ্বর্যের দাম্পত্য ভাঙনের খবর। কিন্তু সব কিছুকে হেলায় উড়িয়ে আজ তেরো বছরের বেশি সময় ধরে দিব্যি সংসার করছেন অভিষেক-ঐশ্বর্য। ইতিমধ্যে তাঁদের জীবনে এসেছে তাঁদের মিষ্টি কন্যাসন্তান আরাধ্যা। কিছুদিন আগে অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন দুজনেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেই সময় নেটিজেনদের একাংশ করোনায় আক্রান্ত অমিতাভের প্রাণরক্ষা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে অভিষেককে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, বাবা অমিতাভ মারা গেলে স্ত্রী ঐশ্বর্য তো আছেন অভিষেককে খাওয়ানোর জন্য। কিন্তু অমিতাভ বচ্চন এই মন্তব্যের যোগ্য জবাব দিয়ে বলেছিলেন, আপাতত তিনি ও অভিষেক নিজেদের হাত দিয়েই খাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, অভিষেকের তুলনায় ঐশ্বর্য নিজের কেরিয়ারে অনেক বেশি সফল। অভিষেকের তুলনায় তাঁর স্টার ভ‍্যালু ও আর্থিক রোজগার অনেক বেশি। কিন্তু অমিতাভ বচ্চনের পুত্রের পরিচয় থাকলেও অভিষেকের কেরিয়ার অতটা সফল নয়। কিন্তু অভিষেক ও ঐশ্বর্যর কেরিয়ার তাঁদের পারিবারিক জীবনে কোনোদিন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।

Advertisement

Recent Posts