Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

ফেসবুকে গল্পের বইয়ের পিডিএফ বিক্রি করে ত্রাণ তহবিলে ১০ লক্ষের বেশি টাকা দিলেন লেখক অভীক দত্ত

সমাপ্তি দেবনাথ: অনেকেই বলেন, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে গল্পের বই পড়া প্রায় ভুলেই গিয়েছে নতুন প্রজন্ম। কিন্তু সেই গল্পের বইয়ের পিডিএফ বিক্রি করেই মাত্র তিন মাসে ত্রাণ তহবিলে ১০ লক্ষের…

Avatar

সমাপ্তি দেবনাথ: অনেকেই বলেন, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে গল্পের বই পড়া প্রায় ভুলেই গিয়েছে নতুন প্রজন্ম। কিন্তু সেই গল্পের বইয়ের পিডিএফ বিক্রি করেই মাত্র তিন মাসে ত্রাণ তহবিলে ১০ লক্ষের বেশি টাকা দান করলেন এক বাঙালি লেখক। তাও শুধুমাত্র ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়েই এই বিপুল পরিমাণ টাকা তুলেছেন তিনি। অভীক দত্ত, ফেসবুকে যাঁরা লেখালেখি করেন তাঁদের তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে এনার নাম। ফেসবুকে যারা নিয়মিত গল্প পড়ে থাকেন, তাঁদের অনেকের কাছেই চেনা নাম অভীক (অর্জুন) দত্ত।

ফেসবুকে নিজের ওয়ালে, পেজে লিখে পরিচিতি পেয়ে সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে নিজের গল্প-উপন্যাসের পিডিএফ বিক্রি করে তিনি করোনা, আমফানের বিভিন্ন ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন ১০ লক্ষেরও বেশি টাকা। করোনা এবং আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত বইপাড়া কলেজ স্ট্রিটকেও আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন তিনি। এছাড়াও দুই দরিদ্র পরিবারের ক্যানসারে আক্রান্তকেও সাহায্য করেছেন লেখক অভীক দত্ত। এবং এই সবটাই করেছেন তার গল্পের পিডিএফ বিক্রি করে।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

যদিও পেশায় তিনি একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তবে তার নেশায় রয়েছে লেখালেখি। ছাপার অক্ষরেও প্রকাশিত হয়েছে তার একাধিক বই, যার মধ্যে অন্যতম ব্লু ফ্লাওয়ার (১,২,৩), অনিন্দ্য, শুভম সমগ্র, ডিভোর্স ইত্যাদি, বৈবাহিক সহ আরও অনেক বই। বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চা করে মাত্র তিন মাসে যে মাইলস্টোন তিনি পেরিয়েছেন তাতে অনেকেই তাঁর এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। এর আগে তিনি কুরিয়ারের মাধ্যমে নিজের লেখা বই পাঠাতেন পাঠকদের, কিন্তু লকডাউনে কুরিয়ারের সমস্যা থাকায় তিনি তাঁর গল্প এবং উপন্যাস পিডিএফ আকারে বিক্রি করার কথা জানান ফেসবুকে এবং এরপরই পাঠকদের তরফ থেকে বিরাট সাড়া পান তিনি।

এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, “লকডাউনে মানুষের বই পড়া বন্ধ হয়ে যায়। তারপরই পিডিএফ বিক্রির কথা মাথায় আসে। এরপর লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েন বহু মানুষ। তাঁদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয় কমিউনিটি কিচেন। টাকা পাঠানো শুরু করি সেখানে।” লকডাউনে মানুষের আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে তিনি মাত্র ২০ টাকা মূল্যে তাঁর গল্পের পিডিএফ বিক্রি করেন। আর সেই টাকা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সন্মিলনীতে পাঠান। এরপর একের পর এক ভারত সেবাশ্রম, লিভার ফাউন্ডেশন সহ বিভিন্ন ছোটো বড় সংগঠনে টাকা পাঠান তিনি।

আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে নিজে সশরীরে না দাঁড়াতে পারলেও, যাঁরা দাঁড়িয়েছেন তাঁদের কাছে অর্থ পাঠিয়েছেন। আর এভাবেই এক অন্যন্য কীর্তি করে ফেলেছেন লেখক অভীক দত্ত। যদিও সমালোচনাও শুরু হয়েছে তাঁকে নিয়ে। তবে লেখক এসবকে পরোয়া করছেন না। তাঁর কথায়, “এতটা সাফল্য পাব কল্পনা করিনি, তবে বিশ্বাস ছিল। আমার পাঠকেরা এগিয়ে না আসলে এই কর্মকাণ্ড সম্ভব হত না।” বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তরুণ লেখকের এমন কীর্তি বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে সদিচ্ছা ও বিশ্বাস থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।

About Author