সমাজের বাঁধাধরা নিয়ম ভেঙে প্রেম যে সবসময়ই সাহসিকতার পরিচয় দেয়, সেটাই যেন আবারও প্রমাণ করল মীরা নায়ার পরিচালিত ব্রিটিশ সিরিজ A Suitable Boy। এই সিরিজের কেন্দ্রে উঠে এসেছে এমন এক প্রেমের গল্প, যা শুধুমাত্র বয়সের ফারাক বা পেশাগত পরিচয়ের ভিন্নতার কারণেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে।
১৯৯৩ সালে বিক্রম শেঠের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই টেলিভিশন মিনিসিরিজ প্রথম সম্প্রচারিত হয়েছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, BBC One-এ। পরে এটি Netflix-এ বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম করা হয়। সিরিজে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানিয়া মানিকতলা (লতা মেহরা), টাবু (সাঈদা বাই), এবং ইশান খট্টর (মান কাপুর)। এর মধ্যে মান ও সাঈদার প্রেমই যেন বিতর্কের কেন্দ্রে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপ্রেমে বয়সের বাধা নেই?
সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ প্লট পয়েন্ট—একজন যুবক, মান কাপুর, প্রেমে পড়েছেন সাঈদা বাই নামে এক প্রৌঢ়া গণিকার। তাদের মধ্যে ২৪ বছরের বয়সের ফারাক! বাস্তবে ইশান খট্টর এবং টাবুর মধ্যে বয়সের পার্থক্যও প্রায় ততটাই। এই সম্পর্ককে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার সময় ইশান স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি এই চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছেন সমাজে প্রচলিত বয়সগত প্রেম নিয়ে স্টিগমা ভাঙার জন্য।
তবে এই সাহসী প্রেমের দৃশ্যই যেন কিছু মহলের চোখে পড়ে গিয়েছে অন্যভাবে। এক মন্দির চত্বরে এক কিশোর-চুম্বনের দৃশ্য ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক, যা শেষমেশ রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং আইনি পদক্ষেপের দিকে গড়ায়।
তাহলে কি সমাজ এখনও প্রস্তুত নয়?
মীরা নায়ার পরিচালিত এই সিরিজ শুধুমাত্র একটি প্রেমের কাহিনী নয়। বরং এটি তুলে ধরে ১৯৫০-এর দশকের ভারতীয় সমাজের বৈচিত্র্য, রীতি-নীতি এবং সামাজিক চাপে কীভাবে ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়। এর গল্প, সিনেমাটোগ্রাফি, এবং অভিনয় প্রশংসা পেলেও বিতর্ক যেন ছায়ার মতো লেগে রইল।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নঃ
১. “A Suitable Boy” সিরিজের প্রধান বার্তা কী?
উত্তর: সামাজিক নিয়ম ও স্টেরিওটাইপ ভেঙে ভালোবাসার স্বাধীনতাকে তুলে ধরা।
২. কেন ইশান খট্টর এই চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী হন?
উত্তর: সমাজে বয়সভিত্তিক সম্পর্কের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চ্যালেঞ্জ করতেই তাঁর এই পছন্দ।
৩. সিরিজে বিতর্কের মূল কারণ কী?
উত্তর: এক ধর্মীয় স্থানে চুম্বনের দৃশ্য, যা কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠীর অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
৪. সিরিজটি কোন প্ল্যাটফর্মে দেখা যায়?
উত্তর: প্রথমে BBC One-এ প্রচারিত হলেও পরে Netflix-এ উপলব্ধ হয়েছে।
৫. টাবু এবং ইশান খট্টরের মধ্যে বয়সের পার্থক্য কত?
উত্তর: বাস্তবেও তাঁদের মধ্যে রয়েছে প্রায় ২৪ বছরের ফারাক।