পেশোয়ার: মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে বা বলা ভাল একজন মানুষ কতটা বর্বরোচিত হতে পারে তা বোধ হয় এই ঘটনাটাই প্রমাণ দেয়। জঙ্গি হামলা, বিস্ফোরণ এসব ঘটনা বর্তমান যুগে নতুন কিছু নয়। কিন্তু একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মত জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানর মত মানসিকতা জঙ্গি দল হলেও কি দেখানো যায়? জঙ্গী মানে কি মানবিকতা বিসর্জন দেওয়া পশুরূপী একটা মানুষের মুখোশ পরা চেহারা? বোধ হয় তাই। সে কারণেই বিস্ফোরণের জন্য এর আগেও অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আর এবারও তার অন্যথা হল না। যদিও ঘটনাস্থল ভারতবর্ষ নয়। যে দেশকে মূলত জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর বলা হয়, সেই দেশে এমন নির্মম ঘটনা ঘটেছে। আজ, মঙ্গলবার সকালেই পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কার্যত বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে। এই বিস্ফোরণকাণ্ডে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। আহত কমপক্ষে ৭০ জন।
শুধু মৃত বা আহতের সংখ্যা বললেই হবে না, এক্ষেত্রে মৃত্যু এবং আহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। কারণ, এটা একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেখানে ক্লাস চলাকালীন এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পেশোয়ারের এক কলোনিতে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যার ফলে শিক্ষক-ছাত্র উভয়পক্ষই নিহত এবং আহত হয়েছেন। যারা আহত হয়েছে তাদেরকে পেশোয়ারের লেডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই প্রত্যেকে চিকিৎসাধীন। যদিও এর মধ্যে কয়েকজন শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী গিয়ে পৌঁছেছে। তদন্তকাজ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না যে, এটা কোনও জঙ্গিদের ঘটানো বিস্ফোরণ নাকি বর্জ্যপদার্থ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে? সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তারপরেই কিছু তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা এলাকা। এমনকি যারা নিহত এবং আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের মধ্যে উদ্বেগের অন্ত নেই। এত বড় বিস্ফোরণ ঘটে যাওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষ থেকে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।