Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

SBI ATM তৈরি করে প্রতি মাসে রোজগার করতে পারবেন ৮০ হাজার টাকা

করোনা ভাইরাস পরবর্তী সময়ে সারা ভারতে শুরু করতে হয়েছিল লকডাউন। অনেক মানুষকে নিজের কাজ হারাতে হয়েছিল এবং সকলেই টাকা পয়সা নিয়ে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। অনেকের কাছেই পয়সা রোজগার করা…

Avatar

করোনা ভাইরাস পরবর্তী সময়ে সারা ভারতে শুরু করতে হয়েছিল লকডাউন। অনেক মানুষকে নিজের কাজ হারাতে হয়েছিল এবং সকলেই টাকা পয়সা নিয়ে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। অনেকের কাছেই পয়সা রোজগার করা বেশ শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই সকলের জন্যই ভারত সরকার নিয়ে আসতে চলেছে একটি নতুন স্কিম। আর এই নতুন প্রকল্প আসতে চলেছে খোঁজ ভারত সরকারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত সংস্থা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, যদি আপনি এই মুহূর্তে একটু বেশি টাকা রোজগার করতে চান তাহলে এই নতুন প্রকল্পের ব্যাপারে আপনাকে জানতেই হবে।

সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত সমস্ত আমজনতার জন্য এই প্রকল্পটি হতে চলেছে অত্যন্ত লাভদায়ক। ভারতের সবথেকে বড় ব্যাংকিং সংস্থা সরকারি ব্যাংক ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক তাদের সকলের জন্য নিয়ে আসছে করোনা পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত পয়সা রোজগার করার একটা দারুন সুযোগ। অনেকেই এই নতুন প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য আগ্রহী হতে শুরু করেছেন। সব থেকে বড় বিষয়টা হল, এর জন্য আপনাকে কিন্তু আলাদা করে কোথাও যেতে হবে না। আপনি বাড়িতে বসেই একটা মোটা টাকা রোজগার করতে পারবেন।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

এসবিআই এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার শর্ত-

১. এসবিআই এটিএম এর ফ্রাঞ্চাইজি নিতে গেলে আপনার কাছে মোটামুটি ৫০ থেকে ৮০ বর্গফুটের মত জায়গা থাকতে হবে।
২. স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অন্য একটি এটিএম থেকে আপনার জমির দূরত্ব কম করে হলেও ১০০ মিটার হতে হবে।
৩. এই জায়গাটির দৃশ্যমানতা ভালো হতে হবে এবং এই জায়গাটা হতে হবে একটি স্পেস গ্রাউন্ড।
৪. এই জায়গায় ২৪ ঘন্টা পাওয়ার সাপ্লাই থাকতে হবে এবং এক কিলোওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কানেকশন থাকতে হবে।
৫. এই এটিএমে প্রতিদিন ৩০০ টি লেনদেনের ক্ষমতা থাকতে হবে।
৬. এটিএমের জায়গায় কংক্রিট নির্মিত ছাদ থাকতে হবে।
৭. সোসাইটি এবং অথরিটির নো অবজেকশন সার্টিফিকেট আপনার কাছে থাকতে হবে।

এসবিআই এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য কোন কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

১. আইডি প্রুফের মধ্যে রয়েছে – আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড।
২. অ্যাড্রেস প্রুফ – রেশন কার্ড, ইলেক্ট্রিসিটি বিল
৩. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং পাসবুক
৪. ফটোগ্রাফ, ইমেল আইডি এবং ফোন নম্বর
৫. অন্যান্য কিছু ডকুমেন্টস
৬. জিএসটি নম্বর
৭. ফিনান্সিয়াল ডকুমেন্ট

এইভাবে করুন আবেদন

এসবিআই এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি প্রদান করা কোম্পানিগুলির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। ভারতে এটিএম তৈরি করার কন্ট্রাক্ট মূলত তিনটি কোম্পানির কাছে রয়েছে – টাটা ইন্ডিক্যাশ, মূথুট এটিএম এবং ইন্ডিয়া ওয়ান এটিএম। এর জন্য আপনি যে কোন একটি কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারেন।

কত টাকা রোজগার করতে পারেন?

এই তিনটি কোম্পানির মধ্যে সবথেকে পুরনো কোম্পানি হল টাটা ইন্ডিক্যাশ। এই কোম্পানির থেকে এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি গ্রহণ করতে হলে আপনাকে ২ লাখ টাকার সিকিউরিটি ডিপোজিট দিতে হবে। এই ডিপোজিট হবে একেবারে রিফান্ডেবল। আপনাকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যাংকিং ক্যাপিটাল হিসেবে জমা করতে হবে। এভাবে আপনার সম্পূর্ণ ক্যাপিটাল হবে ৫ লক্ষ টাকা। আর এই এটিএম গ্রহণ করলে প্রতিটি ক্যাশ লেনদেন থেকে আপনি পেয়ে যাবেন ৮ টাকা করে ও নন-ক্যাশ লেনদেন থেকে পাবেন ২ টাকা করে। অর্থাৎ সারা বছরে আপনি রিটার্ন পাবেন মোটামুটি আপনার ইনভেস্টমেন্টের ৩৩-৫০ শতাংশের মতো। যদি আপনার এটিএম থেকে প্রতিদিন ২৫০ টি ট্রানজেকশন হয়, যার মধ্যে ৬৫ শতাংশ হয় ক্যাশ লেনদেন তাহলে আপনার প্রতি মাসের রোজগার মোটামুটি ৪৫ হাজার টাকা হবে। অন্যদিকে যদি আপনার এটিএম থেকে প্রতিদিন ৫০০টি করে লেনদেন হয়ে, তাহলে আপনার প্রতি মাসে ৮৮ থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় হবে। অর্থাৎ একবার নিবেশ করলেই আপনি পেয়ে যাবেন ব্যাপক রিটার্ন।

About Author